0 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

মহামারির সময় সরকারের লং-টার্ম কেয়ার হোমের নজরদারি ভেঙে পড়েছিল

মহামারির সময় সরকারের লং-টার্ম কেয়ার হোমের নজরদারি ভেঙে পড়েছিল

কোভিড ১৯ মহামারির সময় লং টার্ম কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তদারকি কার্যত ভেঙে পড়েছিল লং টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে সরাসরি পরিদর্শন দুই মাসের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল

কোভিড-১৯ মহামারির সময় লং-টার্ম কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তদারকি কার্যত ভেঙে পড়েছিল। লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে সরাসরি পরিদর্শন দুই মাসের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এটা হয়েছিল সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময়ই। অন্টারিওর ন্যায়পালের এক তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অন্টারিওর ন্যায়পাল পল দুবের প্রকাশ করা বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের লং-টার্ম কেয়ার হোম পরিদর্শন সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগের তদন্তে যেসব বিষয় আড়ালে ছিল সেগুলো তুলে আনাও এর উদ্দেশ্য ছিল।

- Advertisement -

প্রথম ঢেউয়ের সাত সপ্তাহের মাথায় মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন শাখা সরাসরি পরিদর্শন বন্ধ করে দেয়। হ্যামিল্টনে টানা তিন মাস প্রত্যক্ষ পরির্শন বন্ধ ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের তদন্তে যেটা উঠে এসেছে তা হলো মহামারির আগেই নজরদারি ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়টি। এবং কোভিড-১৯ আরও চাপ তৈরি করলে তা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা ও প্রস্তুতি ছিল না। মহামারির মধ্যে কীভাবে পরিদর্শনকাজ চলবে সে সংক্রান্ত কোনো পরিকল্পনা বা নীতিমালা মন্ত্রণালয়ের ছিল না। এ কারণেই কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও কর্মীদের ওপর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হওয়া সত্ত্বেও প্রথম ঢেউয়ের সময় সাত সপ্তাহ পরিদর্শন বন্ধ রাখতে হয়।

ন্যায়পাল তার প্রতিবেদনে বলেন, যেসব বিষয়ে তার উদ্বেগ ছিল ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেগুলোর পরিদর্শন হয়নি। ততক্ষণে অনেকেইে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই লং-টার্ম কেয়ার হোমে সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়েই ৫৩ জনের মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে এক নারী লং-টার্ম কেয়ার হোমে তার মা-বাবা কী দশায় ছিলেন তা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, কেয়ার হোমে কর্মীর তীব্র সংকট ছিল এবং বাসিন্দারা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছিলেন না। অর্থাৎ, তাদেরকে ঠিকমতো খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল না। এমনকি তাদেরকে ঠিকমোত ওষুধও দেওয়া হচ্ছিল না। ওই নারীর বাবা-মার মধ্যে একজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং অপরজন আক্রান্ত হন।

This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles