
স্কুলে শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো সর্বনাম গ্রহণের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সম্মতি গ্রহণের পক্ষে যারা রয়েছেন তারা বলছেন, সন্তানদের জীবনে তারা বাবা-মাকে অন্তর্বুক্ত করতে চান। এই মতের বিরোধীরা বলছেন, আদৌ এটা বাবা-মায়ের অধিকারের বিষয় নয়। বরং শিশুদের সুরক্ষার বিষয়। বিশেষ করে ট্রান্সজেন্ডার ও ননবাইনারি শিক্ষার্থী, যারা বাড়িতে তাদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করাকে নিরাপদ মনে করে না।
সর্বনাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সেখানে বাবা-মায়ের অধিকারের বিষয়টি রয়েছে মাঝখানে। তাড়াহুড়ো করে আইন পাশ করলে ট্রান্সজেন্ডার ও ননবাইনারি শিক্ষার্থীদের ওপর তার প্রভাব হবে মারাত্মক। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড সেক্সুয়াল ডাইভার্সিটির নির্বাহী পরিচালক ডেবি উসা-আকিয়াহ বলেন, এটা সহজেই বিক্রি করার মতো। রাজনৈতিক যুক্তিতে বাবা-মায়ের অধিকারের নামে একটি ফাঁদ তৈরি করেছে তারা।
কানাডার দুটি প্রদেশে এই নীতি চালু করা হয়েছে। নিউ ব্রান্সউইকের প্রিমিয়ার ব্লেইন হিগস গত জুনে শিক্ষানীতি পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। নীতিতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের পছন্দের সর্বনাম ব্যবহার শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। বিষয়টি পর্যালোচনার পর সরকার এখন বলছে, ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভিন্ন নাম বা সর্বনাম ব্যবহার করতে চাইলে তাতে অবশ্যই বাবা-মায়ের সম্মতি থাকতে হবে।
বাবা-মায়ের অধিকার সুরক্ষার জন্যই যে এই নীতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটি জোর দিয়ে বলেন হিগস। সেল্ফ আইডেন্টিফিকেশন সংক্রান্ত নীতির কিছু অংশ বাদ দেওয়ার দাবিতে কানাডিয়ান সিভিল লিবার্টিজ অ্যাসোসিয়েশন আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি নীতির কিছু অংশ ে য কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডম এবং নিউ ব্রান্সউইকের প্রাদেশিক আইনের পরিপন্থী সে ব্যাপারেও আদালতের কাছ থেকে ঘোষণা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
একই ধরনের নীতির কথা বলেছেন সাস্কেচুয়ানের প্রিমিয়ার মো স্কট। শুধু তাই নয়, এখন এটিকে তিনি আইনে রূপান্তরিত করতে চাইছেন। সেজন্য তিনি নটউইথস্ট্যান্ডিং ক্লজ প্রয়োগ করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।