
সামান্থা হেনরির ধর্মঘটে যাওয়া এই প্রথম। সেটাই সারাদেশে খবরের শিরোনাম হয়েছে। হেনরি বলেন, ধর্মঘট মাত্র এক সপ্তাহ বা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। কিন্তু আমরা প্র্য়া পাঁচ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট পালন করে আসছি। টরন্টো এরিয়ার যে ৩ হাজার ৭০০ মেট্রো কর্মী এই গ্রীষ্মে কাজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন সামান্থা তাদের একজন।
হেনরি বলেন, আগের দফার দর-কষাকষিতে ধর্মঘটের ঘটনা ঘটেনি। কর্মীদের দাবীর ব্যাপারে জনগণের মনোভাব সব সময়ই ছিল নেতিবাচক। প্রত্যেকের প্রশ্নই প্রায় এমন ছিল যে, তুমি কী চাও? তিনি একজন রিটেইল কর্মী।
কিন্তু এই গ্রীষ্মটা ছিল ভিন্ন রকম। মেট্রোর নিয়মিত গ্রাহকসহ সাধারণ লোকজন কর্মীদের পিকেট লাইনের সঙ্গে যোগ দেন। মেট্রোর মালিকানাধীন স্টোরগুলো বর্জনের প্রতিশ্রুতি দেন। অনেকটা কৌতুকের ভঙ্গিতে হেনরি বলেন, আমার সারাজীবনে যত ডোনাট ও টিমবিট খেয়েছি এবার তার চেয়ে বেশি খেয়েছি বলে মনে হচ্ছে।
খুচরা খাতের কর্মীরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ মহামারি তা দেখিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন হেনরি। গ্রোসারি স্টোরগুলো কর্মীদের হিরো পে কেড়ে নিলে অনেক নিয়মিত গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু গল্পটা এখানেই শেষ নয়। মূল্যস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হার সবার আয়ই খেয়ে ফেলছে। এর ফলে কর্মীরা আরও বেশি নি¤œ বেতনের কর্মীদের পরিণত হচ্ছেন বলে বলে মনে করেন হেনরি।
ব্রক ইউনিভার্সিটির লেবার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ল্যারি স্যাভেজ বলেন, ক্রয়ক্ষমতার সংকট থেকেই ধর্মঘটী কর্মীদের প্রতি এই সমবেদনা বলে আমার কাছে মনে হয়। কারণ, যে ইউনিয়নেরই হোক সবার ওপরই এর প্রভাব পড়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরের মধ্যে ইউনিয়নের অনুমোদনের হার সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।