
চেক জালিয়াতির মধ্যে পড়ে প্রায় ৩৮ হাজার ডলার গুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর একজন ব্যবসায়ী। তবে জালিয়াতির বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানে পারেননি ওই ব্যবসায়ী।
মিসিসোগার গাইক্যান মেশিন ওয়ার্কসের মালিক জো জন সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, আমি মনে করি, আপনারা কঠোর পরিশ্রম করেন। আপনারা ব্যাংকে আপনাদের অর্থ জমা রাখেন। এ কারণেই আমার অনলাইন ব্যাংকিং নেই। কারণ, এখানে জালিয়াতির ভয় কাজ করে আমার মধ্যে।
জন বলেন, অনলাইন ব্যাংকিং নিয়ে কোনো সময়ই তিনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। এ কারণেই সরাসরি ব্যাংকিংয়ের প্রতিই আস্থাবান তিনি। ব্যবসার প্রয়োজনে ৩০ বছর ধরে এভাবেই ব্যাংকিং করছেন তিনি।
জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেউ একজন সম্প্রতি তার একটি চেক নকল করে এবং আটটি ভুয়া চেক তৈরি করে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে ভুয়া চেকের ছবি আপলোড করে ওই ব্যক্তি ৬০ হাজার ৮০০ ডলার উত্তোলন করে নেয়।
জনের ব্যাংক টিডি ব্যাংক এ ঘটনার তদন্ত করে এবং আটটি চেকের মধ্যে দুটি ফেরত দিয়েছে। জন বলেন, জালিয়াতির এই কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণে বাকি ছয়টি চেকের দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হয়েছে। এই ছয় চেকে অর্থের পরিমাণ ৩৮ হাজার ডলার।
টিডি ব্যাংককে লেখা এক চিঠির উত্তরে জনকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়েল মধ্যে আপনার দাবিটি আমাদের কাছে না পৌঁছানোয় সোিট বাতিল করতে হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনার প্রোডাক্ট চুক্তিতেই উল্লেখ করা আছে।
জন বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ না করার কারণে আমাকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না বলে টিডি ব্যাংক জানিয়েছে। আমার যদি অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাই না থাকে তাহলে আমি কীভাবে তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাবো?