
জুনে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকা-ের ঘটনায় আমেরিকান সংবাদপত্র কীভাবে নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পেল ব্রিটিশ কলাম্বিয়া গুরুদুয়ারা তার তদন্ত শুরু করেছে। সারের গুরু নানক শিখ গুরুদুয়ারার মুখপাত্র গুরকিরাট সিং বলেন, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকান্ডের ভিডিও ওয়াশিংটন পোস্ট কীভাবে পেল সেটা এখনো পরিস্কার নয়।
তিনি বলেন, মন্দির থেকে আমাদের জনানো হয়েছে যে, ভিডিওটি গণমাধ্যম ও জনগণের জন্য নয়। কারণ, বিষয়টির তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। ভিডিওটি কারো পাওয়ার কথা নয়। এটা একটি চলমান তদন্ত। ৯০ সেকেন্ডের ভিডিওটি তিনি একাধিকবার দেখেছেন।
তিনি বলেন, ভিডিওতে নিজ্জরকে ধূসর রঙের একটি ট্রাকে চেপে মন্দিরের পার্কিং লট ত্যাগ করতে দেখা যায়। এর সমান্তরালে একটি সাদা রঙের কার এসে সামনে দাঁড়ায় এবং পিকাআপটি থেমে যায়। এবং নিজ্জরকে সেখান থেকে যেতে বাধা প্রদান করে। এরপর দুজন বন্দুকধারী ক্যামেরার রেঞ্জের বাইরে থেকে নিজ্জরকে গুলি করে। নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে, গুলির ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং নিখুঁতভাবে সাজানো। তারা নিজ্জরের গাড়ি চালানোর অভ্যাস ও প্রাত্যহিক কর্মকা- সম্পর্কে ভালোমতোই অবগত ছিল।
ওই মুখপাত্র বলেন, এটা আকস্মিক ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা ছিল না। এই লোকগুলো বেশ কিছু সময় ধরে নিজ্জরের গতিবিধির দিকে নজর রেখেছিল। তিনি কোন দিকে যেতে পারেন এবং কীভাবে তিনি গুরুদুয়ারা ত্যাগ করবেন সে ব্যাপারেও তারা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিল।
নিজ্জর হত্যাকা-কে ঘিরে কানাডা ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে নিজ্জর হত্যাকান্ডে ভারতের গোয়েন্দ্ াসংস্থা জড়িত বলে ঘোষণা দেওয়ার পর এই উত্তেজনা শুরু হয়।
পাঞ্জাবে পৃথক শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে যে খালিস্তান আন্দোলন নিজ্জর ছিলেন তার একজন সক্রিয় সমর্থক। তিনি ছিলেন আলাদা শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে বিভিন্ন দেশে যে দাবি তার অনানুষ্ঠানিক রেফারেন্ডামের একজন সংগঠক।