
আমি আমার সব কথা অকপট বলি। দুঃখ, হাতাশা,ব্যর্থতা, আনন্দ, সফলতা সব কথাই নির্দ্বিধায় বলি। দুঃখ কষ্টকে যেমন আমি আনন্দে রূপ দিতে পারি তেমনি আনন্দ শেয়ার করতেও দ্বিধা করি না। আমার কোথাও তেমন লুকোছাপা নাই। বলার পর মনেও হয় না ইশ্ কেনো বলতে গেলাম! বলছি তো বলছি, যা হয় হবে। মনের কথা পেটের মধ্যে চেপে না রেখে বলে ফেলাই ভাল। বেশী কৌশল করতে মেধা লাগে। চেষ্টা করে দেখেছি হয় না। ধৱা পৱি।
কারো সাথে অন্যায় কিছু করলে বা কষ্ট দিলে ডিরেক্ট সরি বলি। আমার ছেলে মেয়েকেও অনেকবার সরি বলেছি। ভুল কিছু করলে সেটা ঢাকার জন্য একশটা মিথ্যা বলি না। যত না মুখে তারচেয়ে লিখতে আমি বেশী স্বচ্ছন্দবোধ করি। লিখে ভাল বোঝাতে পারি। মুখে বলতে গেলে গুলিয়ে ফেলি। কোনটা থেকে কোনটা এসে যায়। আর আমার লেখা মানে কোনো কঠিন কিছু না, যা পড়তে দাঁত ভেঙ্গে যাবে বা ডিকশনারি নিয়ে বসতে হবে। আউলা ঝাউলা টাইপ লেখা। সহজ লেখা। একজন বলেছে, সহজ করে লেখা সহজ না।
কখনো হয়ত আমার খুউব মজার কোনো কথা মনে পড়েছে বা আমি কিছু একটা শেয়ার করতে চাই। প্রথমে আমার জেসমিনের কথা মনে হয়। ওর সাথে শেয়ার করা যেতে পারে। কিন্তু যখনই ওর কাছে যাই দেখি জেসমিন কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। তখন আমার দিকে এমনভাবে তাকাবে যেনো আমি বিরাট কোনো অপরাধ করেছি।
তখন আমার আবেগটা মুহুর্তে চলে যায় বা হয়ত জেসমিন ফ্রী আছে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি, সে বাঁকাভাবে বলবে, কত কথা তোমার মনে আসে! ফ্রী আছতো তাই! আমার এতো সময় নাই তোমার কথা শোনার, আমার অনেক কাজ। তখন আমি মনের দুঃখে লেখার টেবিলে আসি। লেখাই ভরসা।
টরন্টো ১৭ অক্টোবর ২০২৩