
গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের ব্যাপারে ইউরোপের মতো কঠোর লক্স্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি কানাডা। এজন্য ডাচ গ্রিন পার্টির একজন সদস্যের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় জাস্টিন ট্রুডোকে। জবাবে তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং তা অর্জনে প্রকৃতপক্ষে নীতিগুলোর যথেষ্ট বাস্তবায়ন হয় না।
এদিকে, মিথ্যা তথ্য প্রচার ও চরমপন্থা বৈশ্বিক অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হেগের ডাচ পার্লামেন্টে শুক্রবার এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসে সরকারি সফরে গিয়ে রিডারজালে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে শুক্রবার বক্তৃতাদানের মধ্য দিয়ে জাস্টিন ট্রুডো দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। দ্বিতীয়ি বিশ^যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্রুডো বলেন, মিত্র বাহিনী যে মূল্যবোধ ও নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ করেছিল তা আজ ধ্বংস হতে চলেছে। এরা কেবল ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক, প্রান্তিক ও ক্ষুব্ধ জনতা নয়। আমাদের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ক্ষতিসাধনে এবং যে নীতি মানুষকে পরস্পরের কাছে ধরে রাখা সেই বিশ^াস নষ্ট করতে রাষ্ট্রীয় মদদেও মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা ছাড়ানো হচ্ছে।
মদদদাতা সুনির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্রের নাম করেননি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তবে চীনের প্রভাবকেন্দ্রিক একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন ডাচ সংসদ সদস্যরা। ট্রুডো বলেন, প্রকৃতপক্ষে এটা বিশ্ব গণতন্ত্র ও আমাদের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে এটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। চীন এতোটাই বড় শক্তি যে তাদের সঙ্গে সম্পর্কে পুরোপুরি ইতি টানাও কঠিন।
ট্রুডো বলেন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশের উচিত বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, হংকং, উইঘুর, তাইওয়ান ও দক্ষিণ বচীন সাগর পরিস্থিতিতে চীনকে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত করা।