
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ভ্যান্টেজ কলেজ চালুর ঘোষণা দেয় ২০১৩ সালে। সে সময় বলা হয়, ফি দিয়ে পড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রোগ্রাম এবং ২০১৬ সালের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজার হবে বলে আশা করা হয়।
ইউবিসির ইংরেজিতে দক্ষতার যে শর্ত তা পূরণ করতে না পারা প্রথম বর্ষেূর শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে এটি চালু করা হয়। ডিগ্রি কোর্সের বাইরেও অতিরিক্ত ভাষা শিক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয় তাদের জন্য। যাদের বার্ষিক ফি এখন ৬০ হাজার ডলার তাদের জন্য ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারে নির্মিত আবাসনে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ারও কথা ছিল। এর নকশাকার বিশ^খ্যাত আর্কিটেকচার প্রতিষ্ঠান পার্কিন্সঅ্যান্ডউইল। এসব ডরমিটরির কিছু রুম থেকে সাগর দেখা যায়।
যদিও বর্তমানে ভ্যান্টেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ১৭২ জন। ২০১৮-২০১৯ সালে সংখ্যাটি ৪৯৮ জনে পৌঁছানোর পর থেকে প্রতি বছরই তা কমছে।
ভ্যান্টেজ স্কুলের এই দুরাবস্থা লাভজনক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী খাতের যে অনিশ্চিত ধরন সেটারই প্রতিফলন। কারণ, কানাডিয়ান বিশ^বিদ্যালয়গুলো ভূ-রাজনীতি ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের¥ধ্যে পড়ে থমকে যাচ্ছে।
খাতটিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ২০১৮ সাল থেকে কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চীনা শিক্ষার্থী ভর্তি ৪০ শতাংশ কমেছে। তবে ভারত থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি হয়েছে। ভারতে ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
ইউবিসির মুখপাত্র ম্যাথিউ রামসে এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ভ্যান্টেজ মডেলের মূল্যায়নের কাজ চলছে। অ্যান্টেজে ভর্তি কম হওয়ার কারণ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সরাসরি ফ্যাকাল্টিতে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে ফ্যাকাল্টিবিশেষ প্রোগ্রামিংয়ে অংশ নিচ্ছে তারা।
ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কানাডিয়ান অর্থনীতিতে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার অবদান রেখেছিল। এটা অটো পার্টস এবং লাম্বার রপ্তানির অবদানের চেয়েও বেশি।
প্রদেশের কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৩৩ কোটি ডলারের রাজস্ব জোগান দিয়েছে। চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে ৫৩ হাজার।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.