
টরন্টোর শেল্টার ইনটেক অফিসের বাইরে রাস্তার পাশে শরনার্থীদের রাত কাটানোর ঘটনা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় শীত আসতে থাকায় এই শরনার্থী চাপের সঙ্গে সিটি কর্তৃপক্ষ কীভাবে খাপ খাওয়াবে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নাইজেরিয়া থেকে আসা শরনার্থী আহমেদ সালমি বলেন, তিনদিন ধরে তিনি রাস্তার পাশে ঘুমাচ্ছেন। কবে নাগাদ বা আদৌ তিনি শেল্টার সেন্টারে যেতে পারবেন কিনা সেই ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমার জন্য একটা শেল্টারের ব্যবস্থঅ করবেন বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু দিনশেষে তারা বলবেন, এই মুহূর্তে কোনো শেল্টার নেই। তারপরও আমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সিটিনিউজ আরও যাদের সঙ্গে কথা বলেছে তারা ১৫ দিন পর্যন্ত গরম ও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন।
শরনার্থীদের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সহায়তা করেছে অল সেইন্টস চার্চ। চার্চের ডায়ানা চ্যান ম্যাকনেলি বলেন, গ্রীষ্মে যা ঘটেছিল সেটা আবারও ফিরে আসছে এবং এতে আমি অবাক হইনি। রাস্তার পাশে শেষ পর্যন্ত যে আরও বেশি সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে আমরা দেখতে পাবো সেটা আমরা জানতাম। কারণ, আমাদের শেল্টার সিস্টেমে কোনো জায়গা খালি নেই। অথচ প্রতি সপ্তাহে কয়েক শ লোক আসছে, যাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
গত জুন থেকে টরন্টো তাদের শেল্টার সিস্টেম থেকে বড় সংখ্যক শরনার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করে। ফেডারেল কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয় তাদের পক্ষ থেকে। সে সময় প্রতিদিন যত সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তা রেকর্ড। তারপর থেকেই চাপ অব্যাহত রয়েছে। এখন শেল্টার সিস্টেম প্রতি রাতে প্রায় ৩০০ আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চাউ বৃহস্পতিবার বলেন, আমাদের কাছে আসা যত সংখ্যক মানুষকে আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি তার অর্ধেক শরনার্থী। সংখ্যাটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৫ হাজার শরনার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। আর কোনো জায়গা খালি নেই আমাদের।
সিটি অব টরন্টোর মুখপাত্র লিন্ডসে ব্রডহেড বলেন, আমরা যেটা করছি তা হলো যত দ্রুত গৃহহীণ মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা যায়। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যত সংখ্যক মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারছি চাহিদা তার চেয়ে অনেক বেশি।