
লিঙ্গ ও সেক্সুয়াল সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বীজ বুনে দিতে রাশিয়া সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের এলজিবিটিকিউ
লিঙ্গ ও সেক্সুয়াল সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বীজ বুনে দিতে রাশিয়া সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের এলজিবিটিকিউ+ অধিকার বিষয়ক অ্যাম্বাসাডর। ক্রমবর্ধমান এক মেরুকরণের বিরুদ্ধে ফরাসী ভাষাভাষী
দেশগুলোর একযোগে কাজ করা উচিত বলে করেন তিনি।
জাঁ-মার্ক বার্থন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এলজিবিটি বিষয়গুলো সবচেয়ে দ্বন্দ্বপূর্ণ এবং দাহ্য। কানাডায় সাম্প্রতিক সফরকালে ফরাসী ভাষায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রায় এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সরকার বার্থনকে এলজিবিটিকিউ+ অধিকারকে এগিয়ে নিতে বার্থনকে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করে। তিনি বলেন, এলজিবিটি লোকজনের অ্যাম্বাসাডর পাওয়ার অর্থ হলো এ বিষয়ে যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো কাজ করছে।
স্থানীয় এলজিবিটিকিউ+ গ্রুপকে কীভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ফ্রান্সের দূতাবাস সহায়তা করতে পারে সেই পরামর্শ দেন বার্থন। বিদেশী মিশনগুলো মানবাধিকারের অগ্রগতি ও পিছিয়ে পড়া সম্পর্কে তাকে অবগত থাকতে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে থাকা এলজিবিটিকিউ+ কর্মীদের সহায়তায় প্যারিসে আমলাদের সঙ্গে কাজ করছে তার কার্যালয়। তারা যাতে ফ্রান্সে পৌঁছে আশ্রয় চাইতে পারে।
একই ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি ও আর্জেন্টিনাতেও। লিবারেল সরকার কানাডাতেও একই পদ সৃষ্টি কথা ভাবছে।
এলজিবিটিকিউ+ ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করা প্রত্যেক দেশের সংগঠনই এলজিবিটিকিউ=-এর সুনির্দিষ্ট একটি দিক বিশ^ মঞ্চে হাজির করতে চাইছে। বার্থনের লক্ষ্য হচ্ছে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার যে বিধান তাকে পাল্টে দেওয়া। এর অর্থ হচ্ছে ৬৫টি দেশকে পরিবর্তনের পক্ষে রাজি করানো, যেসব দেশে সম লিঙ্গের সম্পর্কের শাস্তি হচ্ছে জরিমানা, শারীরিক শাস্তি, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ অথবা মৃত্যুদ-। পাশাপাশি আরও ৬০টি দেশকে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাওয়া, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত। সেই সঙ্গে লিঙ্গ ও যৌন সংখ্যালঘুদের সমবেত হওয়ার সুযোগও নিয়ন্ত্রিত।