
ইসরায়েল ও গাজায় জরুরি সহায়তা হিসেবে এক কোটি ডলার দিচ্ছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১২ অক্টোবর এই ঘোষণা দেন। তবে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে জাতিসংঘ যে হুশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত কিনা সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ইসরায়েল থেকে কানাডিয়ানদের সরিয়ে আনতে দুটি ফ্লাইট ১২ অক্টোবর পরিচালনা করেছে কানাডা। ১২৮ জন কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা অথবা তাদের স্বজনদের নিয়ে ফ্লাইটগুলো তেল আবিব থেকে প্রথম ফ্লাইটটি এথেন্সে অবতরণ করে। দ্বিতীয় ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিল ১৫৩ জন।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ফ্লাইটে ১২০ জন কানাডিয়ান ছিলেন। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের যাত্রীও ছিলেন ফ্লাইটটিতে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের নাগরিক এর মধ্যে অন্যতম।
গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পাঁচদিন পর ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হলো। এই হামলায় কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধে টেনে এনেছে।
ইয়েলোনাইফে সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল।
১২ অক্টোবর ফেডারেল সরকার সাংবাদিকদের জন্য একটি টেকনিক্যাল ব্রিফিংয়ের আায়োজন করে। কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এই ব্রিফিং প্রদান করে। কর্মকর্তারা বলেন, চতুর্থ কানাডিয়ান নির্খোঁজের খবর পাওয়া গেছে। আগে এই সংখ্যা ছিল তিন।
১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরায়েলে অবস্থান করছেন এমন ৫ হাজার ৬৮৫ জন কানাডিয়ানের নাম নিবন্ধিত ছিল। ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অবস্থানকারী হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন ৪৬৫ জন কানাডিয়ান।
কর্মকর্তারা বলছেন, ১ হাজার ৬০০ এর মতো নাগরিক ওই অঞ্চল ছাড়তে সাহায্যের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৮০০ জন রয়েছেন ইসরায়েলে, ১৮০ জন পশ্চিম তীরে এবং ১০০ জন গাজায়। এই অঞ্চলের আরও ৫২০ জনও সহায়তা চেয়েছেন। তবে তারা ইসরায়েলে নাকি ফিলিস্তিনের কোনো ভূখ-ে রয়েছেন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.