
১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা স্কুলে নাম পরিবর্তন করতে বা নতুন সর্বনাম নিতে চাইলে বাবা-মায়ের সম্মতির বাধ্যবাধকতা রেখে আইন করছে সাস্কেচুয়ান। তবে লিঙ্গ-বিচিত্র তরুণদের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দিতে এই আইন যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন দুজন আইনের অধ্যাপক।
সাস্কেচুয়ানের দলীয় সরকার নটউইথস্ট্যান্ডিং ক্লজসহ বিলটি উত্থাপন করেছে। নীতিটির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হলে এ বছরের শেষ দিকে তা শোনার আগ পর্যন্ত নীতির ওপর গত সেপ্টেম্বরে স্থগিতাদেশ দেন একজন বিচারক। এই স্থগিতাদেশ সরকারকে নটউইথস্ট্যান্ডিং ক্লজ ফিরিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইনে বলা হয়েছে, সর্বনামের জন্য সম্মতি নিতে গেলে কোনো শিক্ষার্থীর যদি ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে স্কুলের অধ্যক্ষকে ওই শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলরের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর শিশুটি যাতে সর্বনাম নিতে পারে সেজন্য বাবা-মায়ের সম্মতি নেওয়ার জন্য কাউন্সেলর পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে পারিবারিক আইন পড়িয়ে থাকেন রবার্ট লেকি। একই সঙ্গে তিনি ইউনিভার্সিটির আইন ফ্যাকাল্টির ডিনও। এই পদক্ষেপকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করেন তিনি। লেকি বলেন, পরিকল্পনা তৈরির জন্য শিশুদের যদি পরামর্শ দেওয়া হয়-ও তারপরও তাদের বাবা-মা সম্মতি না দিতে পারেন। এর ফলে শিশুটি বাবা-মা থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে অথবা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাকে পছন্দের নাম বা সর্বনাম নিতে বাধা দিতে পারেন। এর ফলে ক্ষতির শিকার হতে পারে তারা।
পদক্ষেপটিতে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ব্রুস রাইডার। তিনি বলেন, আইনটি যে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করতে যাচ্ছে সেটা তারা ভালো করেই জানে বলে আমি মনে করি। এই জ্ঞান ছাড়াই তারা আইনটি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে এটাকে খুবই বেদনার বলে মনে হয়েছে।