
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন বা বাড়তি সুবিধা দেয় না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পিটার হাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনে সরকার কারা গঠন করবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেশের জনগণের। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বেশ আগে থেকেই সক্রিয় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে অনেকবার বৈঠক করেছেন তিনি। এমনকি পিটার হাসকে নিজেদের অবতার হিসেবেও উল্লেখ করেছেন বিএনপির নেতারা। সোমবারও দিনভর তৎপরতা দেখা গেছে হাসের।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন বিএনপিপন্থি সাংবাদিক জ্যাকব মিল্টন। এতে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিটার হাসের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রশ্নে টেনে আনেন ভারতের প্রসঙ্গও।
আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে ভারত সক্রিয় হয়ে উঠায় পিটার হাস কি থেমে যাবেন – এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সরকার ঠিক করবে দেশের জনগণ। আমি অনেকবার বলেছি, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ দেশটির নাগরিকদের নির্ধারণ করা উচিত।’
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারী মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ডোনাল্ড ল্যুর রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ কারাগারে থাকায় আলোচনা আদৌ সম্ভব কি না। এ সময় মিলার সাফ জানান, বিএনপি বা বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলের পক্ষ নেয়নি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না।’
এ সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ম্যাথিউ মিলার।