
হেলস অ্যাঞ্জেলস বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যরা জুয়া থেকে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্যাশ, কার, মোটরসাইকেল এমনকি আবাসনের আকাক্সক্ষায় ওয়াটারফ্রন্ট জমির পেছনে ঢেলেছেন। আদালতে দাখিল করা অভিযোগে এই তথ্য উঠে এসেছে।
অবৈধ উপায়ে অর্জিত এই সম্পদ সিভিল ফরফিটার আবেদনের মাধ্যমে জব্দের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষগুলো। কর্মকর্তারা এই অর্থের সন্ধান করছেন। বেশ কিছু এন্টারপ্রাইজে এই অর্থ আছে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন কোম্পানি ও ট্রাস্ট।
নথিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে এটা ব্যাপক। কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, অপরাধেল মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যাতে বৈধ ব্যবসায় না যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
অন্টারিও এনডিপির অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিটিক ক্রিস্টিন অং-ট্যাম বলেন, অপরাধমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন এবং তা যেনো বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বৈধ না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকারের।
প্রজেক্ট হোবার্ট নামে এক তদন্তের আওতায় খেলাধুলায় জুয়ার কার্যক্রম তদন্ত করে দেখছেন কর্মকর্তারা। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে ১৪টি পুলিশ সংস্থা।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশের গোেেয়ন্দা সার্জেন ডেব্রা ওয়াকার এক এফিডেভিটে পিরামিড আকৃতির কাঠামোর কথা উল্লেখ করেছেন, যার প্রত্যেক স্তরে রয়েছে শত শত এজেন্ট। তারা সংগৃহীত অর্থ থেকে একটা কমিশন নিজেরা নিয়ে বাকিটা সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, সবার ওপরে আছে দুইজন রিংলিডার। মন্ট্রিয়ল চ্যাপ্টারের সদস্য রবার্ট বারলেটা, যিনি সাহারা নামে একটি অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। নায়াগ্রা চ্যাপ্টারের সদস্য ক্রেইগ ম্যাককুয়ামের নিয়ন্ত্রণে ছিল ‘এক্সজে-এ’ নামের অ্যাকাউন্টটি।
নায়্গ্রাা চ্যাপ্টারের বেশ কিছু সদস্যের সঙ্গে ম্যাককুয়াম ও বারলেটার ছবি খুঁজে পেয়েছিলেন একজন কর্মকর্তা। এসব ঘটনায় অনেকেই দোষ স্বীকার করেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থগিত রয়েছে। ব্র্যাম্পটন কোর্টহাউজের বিলম্বের কারণে বারলেটা ও ম্যাককুয়ামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনো হয়নি।
এই দুইজনের আইনজীবীর কাছে সিটিভি নিউজ টরন্টোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও তারা কোনো উত্তর দেননি। তবে এই জব্দের বিরুদ্ধে যে তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।