
পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে গঠিত কানাডা গ্রোথ ফান্ডের অর্ধেক তহবিল বিশেষ চুক্তির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে কোম্পানিগুলোর যে বিনিয়োগ প্রয়োজন তাতে আত্মবিশ্বাসের জোগান দিতে এই অর্থ ব্যয় হবে।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ২১ নভেম্বর তার ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২২ সালের ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টে তহবিলটি উন্মোচন করেছিলেন।
তিনি বলেন, দেড় হাজার কোটি ডলারের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলার এই চুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে। এরই মধ্যে এ ধরনের চুক্তি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।
চুক্তিতে এই ঘোষণা থাকতে হবে যে, আগামী কয়েক বছরে কার্বন প্রাইস বাবদ কোম্পানিগুলো কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধের ধারণা করছে তার ভিত্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনায় তারা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে। প্রযুক্তি ছাড়াই কোম্পানিগুলো কার্বন প্রাইসিং বাবদ যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধের আশা করছে বিনিয়োগ যদি তার চেয়ে কম হয়ে থাকে তাহলেই এটা কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।
ভবিষ্যতে যদি কার্বন প্রাইসিংয়ে পরিবর্তন আনা হয় তাহলে এ বাবদ অর্থ পরিশোধ এড়াতে কোম্পানিগুলো যে বিনিয়োগ করবে তা কম লাভজনক হবে। ভিন্নতার জন্য চুক্তি আসলে কার্বন প্রাইস কমে গেলে বা বাতিল হলে তার বিরুদ্ধে একটি বিমা পলিসি। সেক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
এই ধারণাটি এক বছরেরও বেশি সময় আগে সামনে আনেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি আইনের আওতায় বড় ধরনের ভর্তুকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে কানাডার বৃহৎ জ¦ালানি কোম্পানিগুলো বাড়তি সহায়তা চাইলে এই ধারণাটি চালু করেন তিনি।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, কানাডিয়ানদের তিনি এটা জানাতে চান যে, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির দিকে রূপান্তরের বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো দেশ এত বেশি প্রতিযোগিতা করছে না।
হাউস অব কমন্সে ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্ট উত্থাপনের ঠিক আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি এবং মঞ্চ নিজেদের দখলে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। বসন্তে দেওয়া বাজেটে আমরা সেটি দেখেছি। এখন ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টেও আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.