
টরন্টোর একজন সিটি কাউন্সিলর তার ওয়ার্ডে যান্ত্রিক উপায়ে পাতা অপসারণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চরম উদ্বেগের মধ্যেই এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাসিন্দারা বলছেন, এই পদক্ষেপ তাদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে। ওয়ার্ডটিতে কয়েক দশক ধরে এই বিলাসিতা বন্ধ ছিল।
১৯৬০ এর দশক থেকে ইটোবিকোক, ইয়র্ক ও স্কারবোরোতে মেকানিক্যাল ভ্যাকুয়াম পদ্ধতিতে পাতা অপসারণ চালু আছে। সিটি এই কাজটি করে আসছে। এই পদ্ধতিতে আবাসিক ভবনে জমা করা পাতার স্তুপ ট্রাকের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়ে থাকে। অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ব্যাগে ভরে পিকআপে তুলে দেন।
টরন্টোর সর্বশেষ মিউনিসিপাল বাজেটে বাকি তিনটি অঞ্চল থেকেও সেবাটি বাতিল করা হয়েছে। সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে করদাতাদের বছরে ২৩ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে।
হলিডে ২০ নভেম্বর সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ৪২ হাজার মানুষ সেবাটি উপভোগ করছিলেন। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সেবাটি টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম আমি কেন করব না?
সিটি কাউন্সিলের গত মাসের বৈঠকে হলিডে কর্মসূচিটি চালু রাখার শেষ চেষ্টা করেন। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন আটজন কাউন্সিলর। বিপক্ষে ভোট দেন ১৩ জন কাউন্সিলর। অর্থাৎ, প্রস্তাবটি উৎরাতে পারেনি কাউন্সিল বৈঠকে।
এরপর থেকেই ওই কাউন্সিলর বলে আসছেন, তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের কথা তার কানে আসছে। বিষয়টি নিয়ে তারা কতটা হতাশ তা আমাকে জানাতে ফোন করছেন ও চিঠি লিখছেন।
সিটি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, সব বাসিন্দাদের জন্য ন্যায্য সেবার প্রতি সামঞ্জস্য রাখতে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল।
অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন হলিডে। তবে সেবাটি নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে বলে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তিনি বলেন। হলিডে বলেন, আমি এটা বুঝি যে, ৪২ হাজার বাসিন্দা সেবাটি উপভোগ করছিলেন। এবং তাদের অনেকরেই বাস ইটোবিকোকের কেন্দ্রে। এখানে বয়স্ক অনেক মানুষ আছে এবং তারা এখনো এই সেবাটির ওপর নির্ভর করে থাকেন।