
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের নারী কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন দলের এক যুবনেতা। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে নারী কাউন্সিলরকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এমনই একটি অভিযোগ উঠেছে চব্বিশ পরগণার রাজপুর সোনারপুর এলাকায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবনেতা প্রতীক দে। রাজপুর-সোনারপুর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পর থেকে প্রতীক দে বিভিন্নভাবে তাকে অপদস্থ করছেন। আর এ ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো শোরগোল ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভা ও থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন পাপিয়া। তার অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের হলেই কখনও ‘বেশ্যা’, কখনও ‘যৌনকর্মী’ এমন অশালীন কটূক্তি করা হচ্ছে তাকে। গালিগালাজও বাদ পড়ছে না।
পাপিয়ার বক্তব্য, সম্প্রতি তার বাড়িতেও চড়াও হয়েছিল প্রতীকের লোকজন। তাদের চরম মানসিক ও সামাজিক অত্যাচারের ফলে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তাকে পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে যাকে নিয়ে এত অভিযোগ তিনি সব অস্বীকার করেছেন। প্রতীক বলেন, অভিযোগ যে যার মতো করতে পারে। পাপিয়াকে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। দল এ বিষয়ে তদন্ত করুক। তদন্তের পর যা সিদ্ধান্ত নেবে, মাথা পেতে নেব। আমি যে কোনো তদন্তের জন্য প্রস্তুত আছি।