
একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন গৃহবধূ। এলাকার কাছে এক দর্জিকে ব্লাউজ বানাতে দেন তিনি। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্লাউজটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দর্জি জানান, মাপে গোলমাল হওয়ায় ব্লাউজটি তৈরি করা যায়নি। আবারও মাপ নিতে হবে। সেই মতো ব্লাউজের মাপ নেওয়া শুরু করেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, ফাঁকা দোকানে ব্লাউজের মাপ নিতে গিয়ে গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করা হয়। এ সময় নিজেকে বাঁচিয়ে পাশের একটি বিউটি পার্লারে আশ্রয় নেন গৃহবধূ। তারাই বাড়িতে খবর দেয়। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, অভিযুক্ত দর্জি সঞ্জীব দাস ময়নাগুড়ির দোমোহনি-১ এলাকার বিজেপি নেতা। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা আদালত সঞ্জীবকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, বিউটি পার্লার থেকে খবর এলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পরিবারের সদস্যরা। ওই ব্যক্তি তখন শ্লীলতাহানির ঘটনা অস্বীকার করেন। শুধু তা-ই নয়, ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় এলাকার কিছু মানুষ বাধা দিলেও পরে দর্জিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় সঞ্জীবকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল।
স্থানীয় বিজেপি নেতা চঞ্চল সরকার বলেন, শুধুমাত্র বিজেপি করায় ছেলেটাকে ফাঁসানো হলো। সে দীর্ঘদিন ধরে দর্জির কাজ করে। এলাকার মা-বোনরা তার কাছ থেকে পোশাক বানায়। এর আগে কেউ অভিযোগ করেনি। আর পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দিল। তাদের এই তৎপরতা প্রমাণ করে অভিযোগটি পূর্বপরিকল্পিত।