
নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেইন্ট জন’স থিয়েটারে দর্শকদের ভয়ে ভয়ে হাত তোলার সময় নিচু স্বরের আওয়াজও শোনা যাচ্ছিল। ‘আ কোয়াইট গার্ল’ শীর্ষক যে সিনেমাটি তারা এইমাত্র দেখলেন সেখানে নিরে গল্পের কোনো প্রতিফলন দেখেছেন কিনা জানতে চাওয়া হয় তাদের কাছে।
মন্ট্রিয়লের পরিচালক আদ্রিয়ান উইলস পরিচালিত ন্যাশনাল ফিল্ম বোর্ডের তথ্যচিত্র তাকেই অনুসরণ করেছে। নিজ প্রদেশ নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডোরে জন্মদাত্রী মাকে তালাস করছেন তিনি। যতই তিনি তার মায়ের কাছাকাছি পৌঁছেছেন ততই তাকে প্রদেশের দত্তকের ইতিহাসের গভীরে নিয়ে গেছে। সেখানে অবিবাহিত অনেক নারী তাদের সন্তানদের পরিত্যাগ করেন, যাতে অন্যের ঘরে লালিত-পালিত হয় তারা।
কেন্দ্রীয় নিউফাউন্ডল্যান্ডে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হওয়ার পর সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে উইলস বলেন, এরপর লোকজন আমাদের যা বলেছেন তা হলোÑহায় খোদা! এটা তো আমার কাজিনের গল্প, আমার বোনের গল্প, আমাদের সবার গল্প। এটা সত্যিই খুব আবেগের। বহু মানুষ আছে, যারা আপনাকে তাদের গল্পগুলো বলতে চান।
নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডোর অ্যাডপটিস নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ পরিচালনা করেন অ্যানি শেল্ডন। তিনি বলেন, আরও বহু গল্প আছে, যেগুলো বলা দরকার। ৫০, ৬০ ও ৭০-এর দশকে জন্ম নেওয়া বহু মানুষ, যারা তাদের জন্মদাত্রীর পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা অনেক পোস্ট দিচ্ছেন। গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৪ হাজার।
তিনি বলেন, প্রদেশে দত্তকের পীড়াদায়ক ইতিহাস চাপা দেওয়া আছে। আমার আশঅ উইলসের চলচ্চিত্র এতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
‘আ কোয়াইট গার্ল’ চলচ্চিত্রে উইলস জানতে পারেন তার জন্মদাত্রী মা গর্ভবতী হন ১৯৭২ সালে, যখন তার বয়স ১৮ বছর। তার পরিবার ছিল দরিদ্র এবং কঠোর ধর্মীয় ভাবাপন্ন। তার মা তাকে সেইন্ট জন’সের একটি হাসপাতালে জন্ম দেন।