
অন্তত একটি শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে এমন কানাডিয়ানের সংখ্যা দশ বছরে দ্বিগুন হয়েছে। এই বাস্তবতা সরকারকে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণে সহায়তা করবে বলে মনে করেন একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রধান।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার উপাত্তে দেখা যায়, ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী ২৭ শতাংশ বা ৮০ লাখ কানাডিয়ান ২০২২ সালে অন্তত একটি অক্ষমতা থাকার কথা জানিয়েছেন। এই সংখ্যা দশ বছর আগের দ্বিগুন।
কাউন্সিল ফর কানাডিয়ান্স উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজের ন্যাশনাল চেয়ার হিদার ওয়াকাস বলেন, পাঁচ বছর অন্তর স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সংগৃহীত এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এগুলো ফেডারেল, প্রাদেশিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি নীতি তৈরিতে প্রভাব রাখে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্তত ৮০ লাখ কানাডিয়ানের অক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা এখনো বাইরের মানুষ। পরিবেশ, আচরণ এবং যেভাবে ব্যবস্থাটি কাজ করে তার ফলে আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে পারি না। কানাডিয়ান অভিজ্ঞতার অংশ হতে পারি না।
শারীরিক অক্ষমদের ৭২ শতাংশ গত বছর প্রবেশযোগ্যতার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এই ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ শতাংশ জানিয়েছেন, ইনডোর ও আউটডোর পাবলিক প্লেসে যেতে তারা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন।
কম দৃষ্টি শক্তির ওয়াকাস বলেন, প্রতেক্যেই যাতে জনপরিসরে চলাফেরা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে।
২০২২ সালে শারীরিক প্রতিবন্ধী কানাডিয়ানের সংখ্যা ২০১৭ সালের সমীক্ষার তুলনায় ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০১৭ সালে ২২ শতাংশ বা ৬২ লাখ কানাডিয়ান অন্তত একটি হলেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এই সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা। সেই সঙ্গে তরুণ ও কর্মক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধিও এর আরেকটি কারণ।
সবচেয়ে সাধারণ ডিজঅ্যাবিলিটি হচ্ছে ব্যথা-সংক্রান্ত, যার হার ৬২ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে চলাচল সংক্রান্ত, যা ২০১৭ সালের সমীক্ষার মতোই রয়েছে। এরপর সবচেয়ে সাধারণ ডিজঅ্যাবিলিটি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, যার হার ৩৯ শতাংশ। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এটা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।