
২০২৩ সালে দেশে চাইল্ডকেয়ার আরও বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে। তবে সেবাটি পেতে বাবা-মাকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পূর্ণকালীন চাইল্ডকেয়ার সেবা বাবদ বাবা-মাকে গুনতে হয়েছে প্রতি মাসে গড়ে ৫৪৪ ডলার। ২০২২ সালে যেখানে এর পরিমাণ ছিল ৬৪৯ ডলার। বিশেষভাবে সেবা নেওয়া চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে শিশুদের জন্য পূর্ণকালীণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫০৮ ডলার, ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬৬৩ ডলার। অনেক প্রদেশ ও অঞ্চল হ্রাসকৃত ফিতে চাইল্ডকেয়ার বাস্তবায়ন করায় ব্যয় কমে এসেছে।
একই সময়ে চাইল্ডকেয়ার সেবার জন্য সেন্টার খুঁজে পেতে হিমশিম খাওয়া বাবা-মার অনুপাত ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে অনুপাতটি ছিল যেখানে ৫৩ শতাংশ। চাইল্ডকেয়ার সেবা নিচ্ছে না কিন্তু অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে পাঁচ বছর ও তার কম বয়সী এমন শিশুদের বাবা-মার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশে। ২০২২ সালে যেখানে এ হার ছিল ১৯ শতাংশ।
২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক ১০ ডলারে চাইল্ডকেয়ার সেবা বাস্তবায়নে ফেডারেল সরকার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে পৃথক চুক্তি করেছে। যদিও এর বাস্তবায়নের গতি ধীর।
ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক চাইল্ডকেয়ার নীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুজানে প্রেন্টিস। তিনি বলেন, ফি কমে যাওয়ায় বাবা-মায়েরা চাইল্ডকেয়ার খুঁজে পেতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আপনি যখন আগের বাড়তি ব্যয়ের সেবা সাশ্রয়ী করবেন তখন বেশি সংখ্যক মানুষ সেবাটি নিতে চাইবেন। অর্থনীতিবিদরা একে বলে থাকেন সুপ্ত চাহিদা।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অর্থনীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক গর্ডন ক্লিভল্যান্ড বলেন, নিবন্ধিত চাইল্ডকেয়ারগুলোতে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৩৮ হাজার শিশু বেশি ভর্তি হয়েছে। এই হারে কানাডা ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন আড়াই লাখ চাইল্ডকেয়ার স্পেস তৈরিতে সক্ষম হবে না।