
এক-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস পড়ে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও অনেকেই এর ভাষা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে পার্থক্য করতে পারেন না। নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
চার্টারের প্রথম বাক্যের সঙ্গে একমত কিনা তা নিয়ে কানাডিয়ানদের মধ্যে মতভেদ আছে। এই বাক্যই নথির অবশিষ্ট ভাবের দিক বলে দিয়েছে।
মেট্রোপোলিস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ। সংস্থার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জেডওয়াব বলেন, তারা যতটা জানে তার চেয়ে বেশি জানে বলে মনে করে থাকে। চার্টার নিয়ে আমাদের আরও শিক্ষার প্রয়োজন। অথবা আরও বেশি চার্টার লিটারেসি দরকার।
সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান লেজার চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৫০২ জন কানাডিয়ানের ওপর অনলাইনে সমীক্ষাটি পরিচালনা করে। জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকীতে জেডওয়াব সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে।
কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস পড়ে দেখেছেন কিনা সমীক্ষায় এই প্রশ্ন রাখা হয়। পড়েছেন বলে জানান সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৩ শতাংশ কানাডিয়ান। ১৯৮২ সালে কানডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস স্বাক্ষরিত হয়।
তবে নথিটি পড়েননি বলে জানান সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা। অবশিষ্ট ৫ শতাংশ চার্টার পড়েছেন কিনা বা এই প্রশ্নের কোনো উত্তরই দিতে চাননি।
চার্টারের সূচনা বক্তব্যের সঙ্গে একমত কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে ৩৮ শতাংশ একমত বলে জানান। এর সঙ্গে একমত নন বলে জানান সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা। এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি অবশিষ্ট এক-চতুর্থাংশ কানাডিয়ান।
যারা চার্টার পড়েছেন তাদেরও মাত্র ৪৭ শতাংশ শুরুর বাক্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আর যারা পড়েননি তাদের দুই-তৃতীয়াংশ হয় এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন অথবা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।
কানাডায় বসবাসকারী প্রত্যেকের জীবন, স্বাধীনতা ও সুখের অধিকার আছেন কিনা? এই প্রশ্নে ৮৮ শতাংশ কানাডিয়ান ‘হ্যা’ সূচক উত্তর দেন। ‘ন্’া সূচক উত্তর দেন ৯ শতাংশ এবং উত্তর দিতে অনীহা প্রকাশ করেন ৩ শতাংশ কানাডিয়ান।