
ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১টা। ঢাকা কলেজের পুকুরপাড়ে চলছিল ডিজে পার্টি। নর্থ হলের কিছু অতি উৎসাহী আবাসিক শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন। ফলে ক্যাম্পাসের দেয়াল ঘেঁষে থাকা বিশ্বাস বিল্ডার্সের মানুষের ঘুমানোই দায় হয়ে পড়ে। 999 এ কল দিয়ে আবাসিক বাসিন্দারা পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ এসে ডিজে পার্টি বন্ধ করে দেয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে কিছু শিক্ষার্থী। যারা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। এ সময় তারা পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে রাখে। এ সময় তারা ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবার চাই’ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকে।
পরে হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক এবং ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কিছু উগ্র শিক্ষার্থী পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে। পুলিশ বহন করা গাড়িতে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তারা জানায়, ‘ক্যাম্পাসের ৮টি হল-ই কারও না-কারও নিয়ন্ত্রণে। হলে থাকতে গেলে হতে হবে ভাইয়ের অনুসারী।’
যদিও গাড়িতে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেনি নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।
এ বিষয়ে শুক্রবার নিউমার্কেট থানা ওসি স. ম. কাইয়ুম দেশ রূপান্তরকে বলেন, আনুমানিক রাত ১টার পরে ৯৯৯ থেকে কল আসে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি কিছু শিক্ষার্থী, তারা সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে উৎসব করছে। আমরা গিয়ে তাদের বুঝিয়ে বলি। আশপাশের মানুষ ঘুমাতে পারছে না।
ঢাকা কলেজ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন এ বিষয়ে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি বাইরে ছিলাম। শুনেছি কলেজ প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যায়।
কি অনুষ্ঠান ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক ছোট ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে পোলাপান (শিক্ষার্থীরা) সাউন্ডবক্স দিয়ে গান শুনছিল।
পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে ডিজে পার্টির মতো কিছু না। ক্যাম্পাসে তো আর ডিজে পার্টি করার সুযোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।