ভারতের ত্রিপুরায় পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ঘুরতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়েছেন বাংলাদেশি ১০ যুবক। পরে ভারতীয় আদালতের মাধ্যমে তাদের ২৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
কারাদণ্ড পাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন মো. শামসুদ্দিন, আব্দুস সালাম, মো. সুমন, মো. বেলাল, আব্দুল জলিল, আল আমিন, মো. সোহেল, মো. হাসান, মো. ইসমাইল ও মো. রবিউল। তাদের বাড়ি রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নে। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছর খাগড়াছড়ি থেকে অনেক বাংলাদেশি মেলায় ঘুরতে যান।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্র। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আমার ইউনিয়নের ১০ যুবককে আটক করে ২৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে ভারতীয় আদালত। এর আগে শুক্রবার তাদের আটক করেছিল বিএসএফ।’
ওই যুবকদের সঙ্গে ভারতে যাওয়া মো. মনির হোসেন বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার তীর্থমুখ এলাকায় গোমতী নদীর উৎসস্থল ডুম্বুর লেকে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী মেলায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে যায়। এবার মেলা দেখতে গত শুক্রবার আমরা ৩২ জন গিয়েছিলাম। সেখানে একরাত থাকার পর দুই গ্রুপে আলাদা হয়ে দেশে ফিরছিলাম। ওরা ১০ জন একসঙ্গে ছিল। আমরা ফিরতে পারলেও তারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে। গত শনিবার রাতে জানতে পারি, বিএসএফ তাদের ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের। বর্তমানে তারা গন্ডাঝড়া কারাগারে আছেন।’
স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রতি বছর ভারতীয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে যোগ দেন। মৃত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ ও পিণ্ডদান করতে পুণ্যার্থীরা সেখানে যান। প্রাচীনকাল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। বর্তমানে উৎসব ঘিরে মেলা বসে। তাই পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও এখানে ভিড় জমান। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এই উৎসব হয়ে উঠে বৃহৎ মিলনমেলা।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন রশীদ বলেন, ‘আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে কেউ কিছুই জানায়নি।’