
টরন্টোর একটি ডেকেয়ার সেন্টার দৈনিক ১০ ডলার ব্যয়ে সেবা প্রদানের জাতীয় যে কর্মসূচি তা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা অর্থায়ন মডেলের কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, এর ফলে তাদের ঋণ অটেকসই পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফল হিসেবে পরিবারগুলোকে এখন অন্য ডেকেয়ার সেন্টার খুঁজতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিকে দৈনিক ৮০০ ডলারের বাড়তি ব্যয় বহন করতে হবে অথবা কর্মীদের ছেড়ে দিতে হবে।
এক বছর ধরে ওলা ডেকেয়ার সেন্টারে আছে জ্যাকুলিন স্টেইনের দুই বছরের ছেলে। এ মাসের গোড়ার দিকে তারা কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সেন্টারের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিটির ফলে সেবার মাশুল অর্ধেকে নেমে এসেছিল।
কর্মসূচিতে সেন্টারটির অংশগ্রহণের ফলে স্টেইন মাসে ৭০০ ডলারেরও কম অর্থ পরিশোধ করছিলেন। কিন্তু এখন স্টেইন ও অন্য বাবা-মায়েরা ওলা ডেকেয়ার থেকে সন্তানদের সরিয়ে নিতে সময় পাচ্ছেন মাত্র ৩০ দিন। তারও আবার আর্থিক কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই। ১ মার্চ থেকে প্রাক-স্কুলের জন্য মাসিক ফি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৪৩৩ দশমিক ২৫ ডলার।
স্টেইন বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সময় পাচ্ছি মাত্র ৩০ দিন। ডেকেয়ারগুলোর অপেক্ষমাণ তালিকা ১২ মাস বা তারও বেশি লম্বা। এ অবস্থায় আপনি কী বলবেন? যাবেন বা কোথায়?
এমন এক সময় ওলা ডেকেয়ারের এই সিদ্ধান্ত এল, যখন অন্য চাইল্ডকেয়ার অপারেটররাও প্রদেশ ক্ষতিপূরণ হালনাগাদ না করলে বন্ধের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে। প্রদেশের সবচেয়ে বড় ডেকেয়ার প্রতিষ্ঠানটিও রয়েছে এই তালিকায়। প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় ওয়াইএমসিএ জানিয়েছিল, পরিবারগুলোকে ব্যয় সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হলেও অপারেটরদের ব্যয়ের বোঝা বাড়ছে।