
কখনো কারো Make-Up করা জীবনের এর সাথে নিজের সত্যি জীবনটাকে তুলনা করে অযথা নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনবেন না।
অনেক দেশে অনেক জায়গায় লাইব্রেরি দেখতে পাওয়া যায়। সেটি কমুনিটির লাইব্রেরি হোক, নিজের বাসার লাইব্রেরি হোক অথবা দেশের পার্লিয়ামেন্টের লাইব্রেরি হোক। তবে এই লাইব্রেরিগুলিতে একটি জিনিষ লক্ষণীয়। সেটি হলো, লাইব্রেরীতে রাখা বইপত্র গুলিতে ব্যবহারের চিহ্ন বা ছাপ কতখানি।
বাংলাদেশ, ফিনল্যাণ্ড, কানাডা সহ আরো ২/১ টি দেশের পার্লামেন্টের লাইব্রেরি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, এবং প্রায়ই অনেকের বাসার লিভিং রুমে সাজানো বইয়ের লাইব্রেরিও দেখার সুযোগ হয়। কিন্তু এইগুলির শেলফে রাখা সব বইগুলি পরিষ্কার না অর্থ্যাৎ ধুলায় ভরা অথবা কখনো যে নড়াচড়া হয়েছে সেই চিহ্ন দেখা যায় না। আবার কোনো কোনো লাইব্রেরিতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে এগুলি নিয়ে প্রায়ই নাড়াচাড়া হয়। দেশ, জাতি এবং ব্যক্তি হিসাবে এই পার্থক্য লক্ষণীয়।
ইদানিং আবার দেখি অনেক আমলা, রাজনীতিবিদ বা তথাকথিত সুশীল সমাজ কোনো ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় তাদের পিছনে থরে থরে সাজানো বইপত্র, কিন্তু উনাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় না যে ওই বইগুলির কোনোকিছু উনারা পড়েছেন। ব্যতিক্রম অবশই আছে তবে খুব বেশি না। আপনার শেলফে কোনো বই থাকলে দয়া করে দেরিতে হলেও সেগুলি একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন!!! আপনারই কাজে লাগবে।
ঠিক এই রকম ভাবে কিছু কিছু মানুষ তাদের FB পেইজে প্রতিনিয়ত নীতিকথা, জ্ঞানের বাণী, ধর্মীয় বাণী বা রাজনৈতিক বাণী লিখে রাখেন কিন্তু এনাদের বাস্তব চরিত্রের বা চালচলনের ওই সমস্ত কথাবার্তার মিল খুব কম পাওয়া যায়। অতএব ওই সমস্ত জিনিস দেখে নিজেকে কখনো ছোট মনে করবেন না। কখনো কারো Make-Up করা জীবনের এর সাথে নিজের সত্যি জীবনটাকে তুলনা করে অযথা নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনবেন না।