
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের গামছা মার্কা যারা পছন্দ করে, ভালোবাসে তাদের ৫০ ভাগ ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায়নি। আর ৫০ ভাগ ভোটার কেন্দ্রে গেছে। আওয়ামী লীগের সবাই কেন্দ্রে গেছে, সঙ্গে চোরেরাও গেছে। বিএনপি’র ৫ ভাগ ভোটারও ভোট দিতে যায়নি।
রবিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে পৌর এলাকার সোনারতরী স্কুল মাঠে এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ৪/৫ দিন আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে উঠিয়ে নিতে চেয়েছিল, আমার কাছে তা পছন্দ হয়নি। আমি সিলেকশন হতে চাইনি। মানুষের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াটাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমি নির্বাচন করতে চেয়েছি। এটা আমি স্বীকার করি, যে তারা ভোট চুরি করেছে। দু’একটা চুরির ব্যাপারে আমারতো ধারনাই ছিলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকরা বেশি সংখক প্রিজাইডিং ও পোলিং-এর কাজ করেছে। প্রাইমারী শিক্ষকরা যদি এত নীতিহীন হয় তাহলে তো সমাজ থেমে যাবে। শিক্ষার মেরুদণ্ডই হল প্রাইমারী শিক্ষকরা। এই নির্বাচনে আমার কাছে মনে হয়েছে শিক্ষককূল চরিত্রহীন হয়ে পড়েছে। এখান থেকে আমাদের ফিরতে হবে।
কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আমি এমপি হলে তোমাদের কী এমন হতো আর এমপি হয়নি বলেই কী এমন হবে না। আমার ধারণা এই নির্বাচনে ফেল করার পর আমাদের দলে আরও শতকারা ১৫ ভাগ ভোটার বেড়েছে। তোমাদের এখন সংগঠন করতে হবে। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভালো ভাবে দল গোছাতে হবে।’