
দুই বছর ধরে নিখোঁজ ছিল ৫ বছরের মেয়ে। তন্নতন্ন করে খুঁজে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও খোঁজ মেলেনি তার। যখন তদন্তে ইতি টানার কথা ভাবছিল পুলিশ তখনই মিলল প্রথম ‘ক্লু’। সেই সূত্র ধরেই উদঘাটন হলো রহস্য। এরপর যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল, তাতে চোখ কপালে সবার।
অভিযোগ উঠেছে, নিজের মেয়েকে খুন করেছে তার বাবা। খুনের পর মরদেহের পাশে বসেই খেয়েছেন খাবার, করেছেন মাদক সেবনও। এরপর দিনের পর দিন ধরে সেই মরদেহ ব্যাগে নিয়ে ঘুরেছেন। কখনো রেখেছেন ফ্রিজে। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্য়াম্পশায়ারের।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও এবিসি নিউজ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বাবার নাম অ্যাডাম মন্টগোমারি। আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, গাড়িতেই শৌচকর্ম করেছিল মেয়েটি। এ নিয়ে রাগের বশে মেয়েকে ব্যাপক মারধর করেন অ্যাডাম। এতেই মৃত্যু হয় তার। তবে মেয়ের মৃত্যুর পরও নিরুত্তাপ ছিলেন অ্যাডাম।
স্ত্রী যখন মেয়ের খোঁজে পুলিশের দরজায় ঘুরছিলেন, তখন অ্যাডাম মেয়ের মরদেহ ব্যাগে ভরে যে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন। ডিউটি চলাকালীন ফ্রিজারে রেখে দিতেন মরদেহ। রেস্তোরাঁর অন্য কর্মীদের সন্দেহ হলেও তারা অ্যাডামকে প্রশ্ন করার সাহস দেখায়নি কেউ।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের মরদেহ সম্পূর্ণ পচে যাওয়ার পর তা অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেন অ্যাডাম। ২০১৯ সালে নিখোঁজ হয়েছিল ওই শিশু। কেউ ভাবেনি শিশুটির বাবাই তাকে খুন করেছে। ২০২২ সালে রহস্য উদঘাটন হয়। বর্তমানে মামলাটির শুনানি চলছে।