
পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান (৫৬) ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিরপুরে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক নজমুলকে এবং বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। দুজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশের প্রস্তুত করা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহালে ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাতকে মরদেহ শনাক্তকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরতহালকালে মৃতের শরীরে ছিল চেক লুঙ্গি ও গায়ে ছিল হালকা বেগুনী রঙের হাফ পলো শার্ট। সুরতহাল অনুযায়ী, মৃত সৈয়দ নজমুল আহসানের উভয় চোখ অর্ধখোলা দেখেছে পুলিশ।
অন্যদিকে নজমুলের স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের মৃত্যুও মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে হয়েছে বলে জানা গেছে। পেশায় গৃহিনী নাহিদ বিনতে আলম স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন মিরপুর-২ সরকারি অফিসার্স কোয়াটারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে উভয়কে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে নাহিদ বিনতে আলমের জন্য আইসিইউ সাজেস্ট করেছিল কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু সেখানে তা খালি না হাওয়ায় পাঠানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সেখান থেকে প্রদানকৃত মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি আইসিইউও-১ এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে সেখানে ভর্তি করা হয় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৭টা ২০ মিনিটে। আর তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মারা যান।
মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে রোগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।। মতামতেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, কারডিয়াক অ্যারেস্ট। এটার মূল কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বুধবার বিকেলে মিরপুর-২ নম্বর অফিসার্স কমপ্লেক্সের বাসায় নজমুল আহসান ও নাহিদ বিনতে আলম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন নজমুলকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া নাহিদ বিনতে আলমকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনিও মারা যান।
সূত্র : বিডি২৪লাইভ