
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ বান্ধবীর সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের কবরস্থানের পাশ থেকে তাদের আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করা হয়।
তবে আটকদের দাবি, বিয়ে করার জন্য তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা যায়, ধরা পড়া ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইমরুল হাসান। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া থানায় কর্মরত। তিনি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় শিমড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই পুলিশ কনস্টেবল তার বান্ধবীকে নিয়ে কবরস্থানের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় বসে ছিলেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইমরুল নিজেকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা অফিসে গিয়ে দোষ স্বীকার করে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন অভিযুক্ত ইমরুল হাসান। তখন তার বান্ধবী বলেন, ‘আমরা বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করি। আমরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসি। আমরা না জেনে কবরস্থানের পাশে বসে ছিলাম। তখন কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন ইমরুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘তারা বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে আপত্তিকর কাজ করেন। আমি মুচলেকা নিয়েছি, তাদের অভিভাবকের কাছে দিয়ে দেব। আমি আটক ইমরুল হাসানের এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।’