
তাইওয়ান প্রণালীতে কানাডার নৌবাহিনী যদি আরেকটি জাহাজ পাঠায় তাহলে স্বাভাবিক সামরিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ধাক্কা খাবে বলে জানিয়েছেন কানাডায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত কং পিউ বলেন, আমরা সংলাপ চাই। তবে সেটা হতে হবে সত্যিকার অর্থে র্পাসপরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে।
চীনের মতো দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গ্রেগরি স্মিথ গত মাসে বলেন, বেইজিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও খোলামনে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে অটোয়া। সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলো আমরা পেছনে ফেলে আসার চেষ্টা করছি। রাগের বশে একে অপরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছিল।
হাউস অব কমন্সে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে তিনি বলেন, চীনের ডিফেন্স অ্যাটাশেল সঙ্গে কানাডা আরও বেশি মৌলিক আলোচনার পরিকল্পনা করছে। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। তবে আমাদের সেটা করতে হবে সরকারের বৃহত্তর অংশীদারদের সঙ্গে। ২০১৮ সালের পর থেকে কানাডা পিপল’স লিবারেশন আর্মির সঙ্গে কোনো ধরনের সামরিক মহড়া বা পরাস্পরিক সহযোগিতায় অংশ নেয়নি।
ওয়াশিংটনের ফ্রিডম অব নেভিগেশন অভিযানের অংশ হিসেবে গত বছর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে একটি চীনা জাহাজকে আমেরিকান ডেস্ট্রয়ারের পাশ দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। এতে করে ডেস্ট্রয়ারের গতি শ্লথ করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজের পাশে একটি কানাডিয়ান যুদ্ধজাহাজও ছিল। বিবাদপূর্ণ প্রণালীটি দিয়ে সেপ্টেম্বরেও কানাডার নৌবাহিনীর আরেকটি জাহাজ অতিক্রম করে।
গত অক্টোবরে একটি যুদ্ধ বিমান ইস্ট চায়না সির ওপর কানাডার নজরদারির পাঁচ মিটারের মধ্যে চলে আসায় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর আচরণকে অগ্রহণযোগ্য ও অনিরাপদ বলে অভিযোগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার।
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে কানাডা ওই অঞ্চলে তিনটি জাহাজ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে কোনোটিই এখন সেখানে নেই। যদিও মাসখানেকের মধ্যে অটোয়া একটি জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। গ্রীষ্মে আরও দুটি জাহাজ তার সঙ্গে যোগ দেবে।
কং বলেন, তাইওয়ান ও চীনের মূল ভূখ-ের মধ্যে এ ধরনের জাহাজ এক চীন নীতিকে খাটো করে দেখার শামিল। ১৯৭০ সাল থেকেই কানাডা এই নীতির মান্যতা দিয়ে আসছে।