4.7 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫

নারী সাংবাদিকের লাশ দাফন নাকি সৎকার? যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

নারী সাংবাদিকের লাশ দাফন নাকি সৎকার? যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ - the Bengali Times
সেই নারী সাংবাদিক

জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ নিয়মিত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইসলামিক নানা বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি তার ২১৮তম পর্বে নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন। সেখান থেকে বাছাই করে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরা হলো।

মাসুম আহমেদ নামে একজন প্রশ্ন করেছেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে এক নারী সাংবাদিক মারা গেছেন। ওই সাংবাদিকের নাম ছিলো বৃষ্টি খাতুন। মুসলিম ঘরের সন্তান। ঢাকায় এসে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে সাংবাদিকতা করতেন তিনি। নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজো করতো। ফলে তার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। তার লাশের সৎকার কিভাবে হওয়া উচিৎ।

- Advertisement -

এই প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, লাশের দাফন হওয়া উচিত নাকি সৎকার হওয়া উচিত— এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই, কেউ যদি মন্দিরে যায়, পুজো করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে থাকে, নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়, তাহলে তাকে মুসলিম গণ্য করার কোনো সুযোগ নেই। বাবা-মার এখানে আবেগ থাকতে পারে, ভালোবাসা থাকতে পারে, খারাপ লাগা থাকতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো, সন্তান-সন্ততি যখন ছোট বেলা থেকে পর্যাপ্ত দ্বীনি শিক্ষা না পায় এবং পরিবার থেকে দ্বীনের চর্চার ঘাটতি থাকে, তখন নানাভাবে তারা বিপথগামিতার পথে চলে যান। সে দৃষ্টিকোন থেকে কোনো মানুষ যদি এমন কোনো কাজ করে, যার ফলে সে ইসলাম থেকে খারিজ (বাহির) হয়ে যায়, যেমন সে শিরকে লিপ্ত হলো প্রকাশ্যে তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না।

এ অবস্থায় যদি মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে তাকে মুসলমানদের কবরে দাফন নয় বরং হিন্দুদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সৎকার করবে। তবে মেয়েটির বাবা-মার সঙ্গে মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গদের যে বিতর্ক হয়েছে, সেখানে মা-বাবার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা খুব দুঃখজনক। এখানে অনেক মা-বাবার জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে যে, ছেলে মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষার নামে তাদেরকে যেখানে সেখানে পাঠাচ্ছেন। দ্বীন ধ্বংস করছেন। সে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড এভাবে মারা যাবে তাদের মা-বাবা কেউ চিন্তা করেনি। এখানে সমাজের একটি বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমাদের সন্তানদের দ্বীনদারিতার ক্ষেত্রে যদি আমরা গাফলতি করি, তাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমাদের অজান্তে আমাদের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে, আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা আছে। অতএব, শিক্ষার নামে তাদেরকে দিয়ে দিলাম আর তারা যা খুশি করলো, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles