দুই সন্তানের ক্ষেত্রেই অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় ‘ঘৃণ্য’ অনলাইন নিপীড়নের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল। তিনি ইন্টারনেট ও কিছু গণমাধ্যমে মানবতা নেই বলেও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিষাক্ততা ছড়ানো হচ্ছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আয়োজিত এসএক্সএসডব্লিউ নামের এক অনুষ্ঠানে মেগান মার্কেল তার অনলাইন অভিজ্ঞতা নিয়ে কথাবলেন। মেগান বলেন, আমার নিজের ভালোর জন্যই আমি নিজেকে এখন অনলাইন থেকে দূরে সরিয়ে রাখি। কিন্তু আমাদের সন্তান অর্চি ও লিলি গর্ভে থাকার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে ব্যাপকভাবে ঘৃণা ও হেনস্তার শিকার হয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন, ওই পরিস্থিতির কথা ভাবলে সত্যিই মাথা ঘুরে যাবে যে কেমন করে মানুষ এত ঘৃণ্য হতে পারে। ডিজিটাল ক্ষেত্র ও গণমাধ্যমের কিছু অংশে আমরা আমাদের মানবতা ভুলে যাই। এটা পরিবর্তন করতে হবে।
নিজের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন। রাজপরিবারের অংশ হয়ে থাকতে হ্যারি ও মেগানকে ওই সময় কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন দুজন। রাজপরিবারের কঠিন সময়ে মেগান সেখানে যুক্ত হন। চার্লসের ক্যানসারের চিকিৎসা ও হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন তখন সবে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন।