
তখন অপু বিশ্বাস ফেসবুকে নতুন। নতুন শাকিব খানও। হয়তো তারা জানতেন না কিংবা জানতেন একটা সময় সোশ্যাল প্ল্যাটফরম হয়ে উঠবে অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম। ২০১৪ সালে অপু বিশ্বাস শুভরাত্রি লিখে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন।
শুধু তাই না, সেই সময়ের তার অন্যতম সহকর্মী শাকিব খানের ফেসবুক পেইজের প্রমোশনও করেছিলেন। ওই পেইজে নিজের ভক্তদের শাকিব খানের পেইজে লাইক দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, বি:দ্র: শাকিব খানের একমাত্র অফিসিয়াল পেজ লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন। পেজ লিংক (লিঙ্ক সংযুক্ত করা)।
অপু বিশ্বাসের সেই পোস্ট ও ছবি নতুন করে নেটিজেনদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শাকিব খানের সেই ফেসবুক পেইজের অনুসারী ৬৭ লাখ। অন্যদিকে অপু বিশ্বাসের ফেসবুক পেইজের অনুসারী ৯০ লাখ। অর্থাৎ এই প্ল্যাটফর্মে শাকিবের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন অপু বিশ্বাস।
শাকিব খানকে প্রমোশন করা অপু পরবর্তীতে নায়ক হন, অন্তরালে থাকা শিশু সন্তানকে নিয়ে টেলিভিশন লাইভে হাজির হন অভিনেত্রী। স্বামীর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন শাকিবের। আবার বিচ্ছেদও। যদিও শাকিব একটি টেলিভিশনে বলেছিলেন, সন্তান তার কিন্তু স্ত্রী তার না। অপু বিশ্বাস সেসব কথা মাথায় রাখেন না। তিনি এখনো শাকিবের প্রশংসা করেই যান।
শাকিব প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘যুগে যুগে একজন এমন হার্টথ্রব তৈরি হয়। হার্টথ্রবের জন্য সত্যিই যুগ লাগে। সেই সময়টা আর আসবে না, সেটা বলব না।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব অপুকে একসঙ্গে দেখা যায়। পরে নওশীন হিল্লোলের নিউ ইয়র্কের বাসায় নিমন্ত্রণ খেতেও যান। জানা যায়, নওশীন-হিল্লোলের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই শাকিব-অপু তাদের মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। তাদের একসঙ্গে দেখে অনেকের মনেই ফের সেই প্রশ্নই জোরালো হলো, তবে কি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকতে যাচ্ছেন শাকিব খান?