
আত্মহননের উদ্দেশ্যে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন স্ত্রী রুপা খাতুন। ঝুলন্ত স্ত্রীকে নামিয়ে নিজেই সেখানে ঝুলে পড়েন সোহেল রানা (২৫)। তবে তখনো প্রাণ যায়নি রুপার। গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছেন সোহেল।
পৌরসভার ঝুটিতলায় সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রুপা খাতুন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোহেল রানা একজন ঘের ব্যবসায়ী।
তিনি শ্যামনগরের খুটিকাটা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে। সাতক্ষীরা পৌরসভার ঝুটিতলা এলাকায় বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিলেন।
সোহেল রানার প্রতিবেশী কাঞ্চন রহমান বলেন, সোহেল-রুপা দম্পতির মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। সোমবার দুপুরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে নিকটবর্তী এলাকায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে চলে যান সোহেল। আধাঘণ্টা পর বাড়িতে ফেরেন। এসেই স্ত্রীকে ফ্যানের সাথে গলায় রশি নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তৎক্ষণাৎ স্ত্রীকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেন তিনি। অচেতন স্ত্রী মারা গেছেন ভেবে সোহেল রানা একই রশিতে ঝুলে পড়েন।
প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পৌঁছে দেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বামী সোহেল রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অচেতন অবস্থায় রুপা খাতুনকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে।
রুপা খাতুনের মা মঞ্জুয়ারা খাতুন জানান, রুপার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি কিছুটা ভালো আছেন। মেয়ে জামাইয়ের মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।