
টিটিসি সিগাল সমস্যা অন্যরকম এক উপায়ে সমাধান করতে যাচ্ছে। এজন্য তারা শব্দ কামান ব্যবহার করবে।
টিটিসি বলছে, ১১৬৫ লেক শোর বুলভার্ড ইস্টে স্ট্রিটকার মেরামত কারখানা লেসলি বার্নস ভবন ২০১৫ সালে চালু করার সিগালের সংখ্যা বাড়ছে। ট্রানজিট কর্তৃপক্ষের হিসাবে, তখন থেকে সেখানে প্রতি বছর ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সিগাল আসছে বা বাসা বাঁধছে। সিগাল তাড়াতে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চারবার শব্দ কামান ব্যবহার করা হবে। শব্দ কামান থেকে উচ্চ শব্দ নির্গত হয়, যা পাখিগুলোকে অন্যত্র চলে যেতে উৎসাহিত করে।
টিটিসি বলেছে, পাখির বাসা বাঁধার মৌসুমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্চের মাঝামাাঝি সময় থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত শব্দ কামানের ব্যবহার শুরু হবে। তবে ওই স্থানে কোনো পাখি না থাকলে শব্দ কামান ব্যবহার করা হবে না।
সংস্থাটি বলেছে, শব্দ কামান থেকে কোনো গুলি বের হয় না। ফলে সিগালেরও কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এর পরিবর্তে এগুলো থেকে বিকট শব্দ নির্গত হয়, সিগালকে তাড়িয়ে দিতে ও অন্যত্র আবাস খুঁজে নিতে উৎসাহিত করে।
টিটিসির শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, লেসলি বার্নসের ওপর হাজার হাজার সিগাল উড়ছে।
টিটিসির একজন মুখপাত্র বলেন, কারখানার ভেতরে কামানের শব্দ কদাচিৎ শোনা যায়। কামানের শব্দ দূর থেকে একটিমাত্র আতশবাজির যে শব্দ তার সমান।
ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, শব্দ যাতে কম হয় সেজন্য আবাসিক এলাকা থেকে দূরে এগুলো ব্যবহার করা হবে। ভবনের ভেতরে শব্দ অনেক বেশি হবে, যা অনেকটা জ্যাকহ্যমাার বা অ্যাম্বুলেন্সের শব্দের মতো।
টিটিসির তথ্য অনুযায়ী, সিগাল স্বাস্থ্যঝুঁকি ও কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে বিঘেœর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাছাড়া ভবনটিও পাখির জন্য নিরাপদ নয়। সুউচ্চ ছাদ সিগালের বাচ্চার জন্য বসবাস করা কঠিন। কারণ, তারা পানি ও খাবারের জন্য মরিয়া এবং এখনো তারা উড়তে শেখেনি।
টিটিসি বলেছে, ওই স্থানে সিগালের বাসা বাঁধা বা ফিরে আসা বন্ধ করতে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শব্দ কামানের সুপারিশ সবচেয়ে বেশি এসেছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.