
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, বড় ভাই ফকীর আব্দুল জব্বার ভাইয়ের সাথে আজ প্রায় সারাদিন কাটলো। জুম্মার নামাজ শেষে বাসায় এলেন মা’র সাথে দেখা করতে। আমার ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, যখনই বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে যেতেন, চাচী চাচী বলে জব্বার ভাই মা’য়ের খোঁজ নিয়ে যেতেন, আমার ছোট ভাই হেনাকে কোলে নিতেন।
আজও এলেন একেবারেই আকস্মিকভাবে। ভাইয়ের এই গুণটা আরো একজনের ছিল তিনি হলেন প্রয়াত কুদরত আলী প্রামানিক ভাই। আসলে সেই একটা সময় ছিল যখন মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের কোন সীমা পরিসীমা ছিল না। একসাথে দুইভাই কিছু মুখে দিয়ে গেলাম কেন্দ্রীয় গোরস্হানে আব্বার কবর জিয়ারত করতে। এই বিষয়টা নিয়ে আলাদা লেখা দিব বলে এখানে বিস্তারিত বলছি না। এরপর গেলাম আগে থেকেই নির্ধারিত বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান খোকার বাসায় দাওয়াতে। সেখানে আবারও দুপুরের খাবার খেয়ে গেলাম সাবেক শ্রমিক নেতা সদ্য প্রয়াত প্রিয় রহমান ভাইয়ের বাসায় মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে। মিলাদ ধরতে না পারলেও বহুদিন পরে অনেকের সাথে দেখা সাক্ষাত হলো।
এরপর গেলাম শ্রমিক কৃষক ও জনদরদী নেতা প্রয়াত উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মিয়ার বাসায়। সেখানে দেখা হলো অনেকের সাথে। জলিল ভাই, জব্বার ভাই দুজনই আমার আত্মীয়। জলিল ভাই ছিলেন আমার ফুফাত ভাই আর জব্বার ভাই হলেন আমার চাচীর বোনের ছেলে, অর্থাৎ ভাগ্নে। যাহোক এরপর গোয়ালন্দের পৌর মেয়রের আমন্ত্রনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকির মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে। দীর্ঘক্ষণ জব্বার ভাইয়ের সান্নিধ্যে আবারও দেখলাম দলমত নির্বিশেষে কিভাবে মানুষের সাথে মিশতে হয়, কথা বলতে হয়, মানুষের কথা ভাবতে হয়। আমি মহান আল্লাহর কাছে জব্বার ভাইয়ের সুস্বাস্হ্য ও নেক হায়াত কামনা করি।
স্কারবোরো, কানাডা