
ড্রেকের ব্রাইডল পাথ ম্যানশন এরিয়ার ডজনখানেক সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ গুলির জন্য দায়ী সন্দেহভজানকে ও র্যাপারের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা প্রহরীকে গুরুতর আহতক করার ঘটনা শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই বলেছেন টরন্টোর সাবেক এক হোমিসাইড গোয়েন্দা। ৭ মে সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, পার্ক লেন সার্কেল ও পোস্ট রোডের কাছে ওই ম্যানশনে যখন সন্দেহভাজনরা পৌঁছায় তখন তারা গাড়িতে ছিল। রাত ২টার পরে যখন গুলির শব্দ শোনা যায় তখন ড্রেক বাড়িতে ছিলেন কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। বাড়ির ফটকের বাইরে একন নিরাপত্তা প্রহরী এ সময় দাঁড়িয়েছিলেন এবং গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের র্যাপার কেন্ড্রিক ল্যামারের সঙ্গে বিবাদ তুঙ্গে ওঠার মধ্যে গুলির এই ঘটনা ঘটে। সপ্তাহজুড়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে একাধিক ডিস ট্র্যাক প্রকাশ করেন ড্রেক এবং ল্যামার। এতে অপ্রমাণিত অভিযোগ এবং ব্যক্তিগত অপমানসূচক কথাবার্তা ছিল।
পুলিশ বলেছে, এই বিবাদের সঙ্গে গুলি ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এখনই তা বলা যাচ্ছে না।
টরন্টো হোমিসাইড ডিটেক্টিভে কাজ করা সিটিভি অপরাধ বিশেষজ্ঞ মার্ক মেন্ডেলসন বলেন, পুলিশ এখন যে সমস্যার সামনে পড়বে তা হলো ঘটনাটি ড্রেকের মতো সেলিব্রিটিকে নিয়ে, যার রয়েছে অনলাইনে লাখ লাখ অনুসারী। পাশাপাশি পশ্চাৎদৃশ্যে রয়েছে এ ধরনের বিবাদের বিষয়টি।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পেছনে এগুলোর কোনো সম্পর্ক আছে কি? যে সময়ে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেটা আগ্রহোদ্দীপক। কিন্তু পুলিশের তদন্তের কথা বললে এটা গুলির ঘটনা। এবং প্রমাণ তো প্রমাণই। সাক্ষ্য-প্রমাণই তদন্তের গতিপথ কোন দিকে যাবে তা ঠিক করে দেবে।
সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ এক্সেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মেন্ডেলসন বলেন, সেখানে অনেকগুলো ভিডিও ক্যামেরা রয়েছে। ওই বাড়ির দেড়শ গজের মধ্যে সম্ভবত ১০০টি সিকিউরিটি ক্যামেরা রয়েছে এবং পুলিশ চাইবে সঠিক ভিডিও ও সঠিক গাড়িটি দেখতে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বেঁচে যাবে বলে আশা করায় তার বর্ণনাও পাবে পুলিশ। তবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় না পৌঁছানো পর্যন্ত সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। কী বলছে? সন্দেহভাজনকে কি তিনি চিনতে পেরেছেন? তার গাড়িটি কি তিনি চিনেত পেরেছেন? গাড়িটি কি এর আগে একাধিকবার এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে র্যাপারকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা নির্ধারণে তদন্তকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতেও ভালোভাবে চোখ বুলাতে হবে।
পুলিশ বলেছে, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ঘটনার উদ্দেশ্য এখনো শনাক্ত করা যায়নি।