
সবার জন্যই এটা কঠিন সময়। কিন্তু কমল খেরার শেষ ১৯ মাসের কথাটা একটু ভাবুন। ২০২০ সালের মার্চের কোনো এক দিনে ব্র্যাম্পটন ওয়েস্টের এই লিবারেল এমপি কানাডার প্রথম রাজনীতিক হিসেবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। নিবন্ধিত নার্স খেরা পরবর্তীতে সম্মুখসারীতে যোগ দেওয়ান মনস্থির করেন।
ভয়ঙ্কর ওই বছরই তার বাবা ও চাচা প্রয়াত হন। জানুয়ারিতে তার পরিবারের শেষকৃত্যে সিয়াটলে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর সংসদীয় সচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। কারণ, ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে কানাডিয়ানদের প্রতি বাড়িতে থাকার বার্তা ছিল সে সময়।
গত মাসে জাস্টিন ট্রুডোর নতুন মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী খেরা। কানাডার জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব পড়েছে তার ওপর। মন্ত্রী হিসেবে এটা বড় কোনো পোর্টফোলিও নয়। তবে মহামারি যেভাবে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে তাতে করে মন্ত্রিসভায় পোর্টফোলিওটির অংশীদারিত্ব অনেক বেশি।
কমল খেরাকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদানের পর জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, অন্যদের যতœ নেওয়া, সেবা করার নেশা ও অভিজ্ঞতার সম্মিলন তিনি তার কাজের মধ্যে ঘটাবেন। যার নজির তিনি নার্স ও সংসদ সদস্য হিসেবে রেখেছেন।
খেরার জন্ম ভারতের নয়া দিল্লিতে এবং ১০ বছর বয়সে তিনি কানাডায় আসেন। সেবার মূল্য ও কঠোর পরিশ্রম করার শিক্ষা কানাডার অন্য সব অভিবাসীর মতো তিনিও পরিবারের কাছ থেকেই পেয়েছেন। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ¯œাতক সম্পন্ন করে টরন্টোর সেন্ট জোসেফ’স হেলথ সেন্টারের অনকোলজি ইউনিটে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ২৬ বছর বয়সে ২০১৫ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন খেরা।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কমল খেরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সংসদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীদের সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন।
সিবিসি নিউজকে খেরা বলেন, নার্সিং পেশা তাকে সমানুভূতি শিখিয়েছে, রাজনীতিতে সাধারণত যেটা দেখা যায় না। সহৃদয়তা ও সহানুভুতি থাকলে সেবাটা দীর্ঘ হয় বলেই আমি মনে করি। আমার কাছে এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
খেরা বলেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর তিনি কোভিডের বাস্তবতা নিয়ে তার কমিউিনিটির অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কারণ তার কমিউনিটির অনেকেরই ধারণা, তরুণ ও স্বাস্থ্যবানদের ভাইরাসটি আক্রমণ করতে পারে না।
সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে আবারও এমপি নির্বাচিত হন খেরা।