যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম এবং বাথরুমে নিজের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন এক শিক্ষিকা। এরপর সেগুলো তার প্রেমিককে পাঠান। কিন্তু ব্রেকআপের পর তার প্রেমিক ওই শিক্ষিকার ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই হঠাৎ করে চাকরি ছেড়ে দেন ওই শিক্ষিকা। পরবর্তীতে ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে আসায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা গত ফেব্রুয়ারিতে অজ্ঞাত কারণে পদত্যাগ করেন। তিনি টেক্সাসের লামার কনসোলিডেটেড ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (এলসিআইএসডি) এর গ্রে এলিমেন্টারিতে একজন সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগও আনা হয়নি। কিন্তু কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্টরা সংবাদ সম্মেলন করে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
কুমিরের চোয়ালে নারীর মরদেহকুমিরের চোয়ালে নারীর মরদেহ
স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানায়, বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত ওই ভিডিওগুলো সম্পর্কে তারা কিছুই জানত না। তারা বিষয়টি জেনেছে শিক্ষিকার ভিডিও ক্লিপগুলো অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার পর। একটি ভিডিও শ্রেণীকক্ষের ভেতরে ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে- শিক্ষিকা মোবাইলের ক্যামেরায় তার শরীর দেখাচ্ছেন। অন্য একটি ভিডিওতেও তাকে একইভাবে স্কুলের বাথরুমে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।
এটি প্রকাশিত হওয়ার পর ওই নারী শিক্ষিকা বলেন, আমি আর কখনও এ ধরনের কাজ করব না। তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি রবিবার ভিডিওগুলো শুট করেছিলেন যে সময় স্কুলে বা বাথরুমে ও ক্যাম্পাসে কেউ ছিল না।
তিনি জানান, তিনি শুধুমাত্র তার সাবেক প্রেমিকের সাথে ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তার সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। আর এরপরই তার প্রেমিক ওই ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। এমন ঘটনার পর ওই শিক্ষিকা তার সাবেক প্রেমিকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।