
ফেনীর পরশুরামে সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশীষ চক্রবর্ত্তীর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি আপত্তিকর ছবি পোস্ট হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে তাকে শোকজ করে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ায় তাকে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, আশীষ তার আইডি থেকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়া এবং দলের মর্যাদাক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজে জড়িত থাকায় তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পরশুরাম সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশীষ চক্রবর্ত্তী দীর্ঘদিন ধরে কলেজের মেয়েদের বিরক্ত করতেন। তিনি দল করে এই কারণে এসব ঘটনার জন্য কখনো মুখ খুলতে সাহস পাইনি। এটা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শুধু অব্যাহতি নয় আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
কবি শামসুন নাহার মাহমুদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা স্কুলে আসা যাওয়ার সময় আশীষ সহ আরও কয়েকজন বখাটে ছেলে আমাদের উক্তত করতেন।
অলকা গ্রামের সাবেক নয়ন মেম্বার জানান, ছাত্রলীগ নেতা আশীষের যন্ত্রণায় স্কুল, কলেজের ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া আরও বলেন, আমার আপন ভাগিনীকে অনেক বিরক্ত করত। দলীয় পদবি থাকায় কেউই মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অলকা গ্রামের একজন বলেন, আশীষ হিন্দু ধর্মের হয়েও কীভাবে মুসলিম মেয়েদের বিরক্ত করে। তারে অব্যাহতি দিলে হবে না। আইনের আওতায় এনে বিচার সম্মুখীন করা হোক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় , গত রবিবার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে আশীষ চক্রবর্ত্তী নামের আইডিতে ‘ভালোই চলছে’ লিখে এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা হয়। মূহুর্তে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সমালোচনার ঝড় উঠে।
ছাত্রলীগ নেতা আশীষ চক্রবর্তী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার আইডি হ্যাক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটি চক্র এই ধরনের ছবি আপলোড করেছে।