
দু”জন ভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও লৈঙ্গিক অবস্থার প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ জীবনের সুন্দর সময়গুলো একসাথে পার করবে এরকম সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের নিজেদের। সেক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী নারীটির চেয়ে বড় না ছোট, বা পুরুষটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর চেয়ে তুলনামুলক ভাবে বয়স্ক কিনা বা পিতা বা পিতামহের বয়স কিনা সেটি একান্তই তাদের ব্যাপার। অন্য সবাই আদার ব্যাপারী।
তবে বাঁধভাঙা সমাজ ভাঙা প্রেমিক প্রেমিকার খেয়াল রাখতে হবে তাদের দ্বারা অন্য কেউ যেনো ক্ষতি গ্রস্থ না হয়। কোন ব্যক্তি যেন অন্য কারো পরিণত সংসারে গিয়ে ক্ষতির কারণ না হয়। এবং তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক গুলোর উত্থান পতন যেনো একান্তই ব্যক্তিগত থাকে।
সমাজের চর্চিত বিষয়ে নাম করা লেখকদের অবস্থান নেয়া ভীষণ গুরুত্ব বহন করে। তাই আমজনতা আশা করে এই সকল বিভিন্ন ইশ্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করা ব্যক্তিত্বরা যেন একদিকে পক্ষপাত না করেন। সেইসাথে সেই বিশেষ ব্যক্তি যেন তার স্বার্থ অনুযায়ী বক্তব্য না দেন।
ধরা যাক কোন একজন নামকরা লেখক যিনি সমাজিক বিষয়গুলোতে সব সময় ধারালো বক্তব্য তুলে ধরেন তেমন একজন, যাকে সমাজের হাজার হাজার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। তার বক্তব্য সমাজের ট্যাবু ভাঙতে সহায়তা করে। এরকম লেখক বা বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছে মানুষ সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান আশা করে।
এরকম একজন লেখক বাংলাদেশের অন্য একজন কথা শিল্পী তার দ্বিতীয় বৈবাহিক অবস্থার জন্য তিনি ভীষণ ভাবে সমালোচনা করেছিলেন। কথা সাহিত্যিক নিজেও হয়তো জানতেন না এর জন্য তাকে সামাজিকভাবে কতোটা মুল্য দিতে হবে ! তিনি কিন্তু তাঁর ভক্তকুলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া কিন্তু তিনি রোধ করতে পারেন নাই।
যাহোক, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বয়স অনেক কম হওয়াতে অন্য বিশিষ্ট লেখক তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা লিখেছিলেন ‘হাঁটুর বয়সী স্ত্রী’ ।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট ধন্যাট্য শিল্পপতি যখন হাঁটুর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ফাঁদে ফেলে আত্মহত্যা করিয়ে দিলেন তখন হাঁটুর বয়সটি তার চোখ এড়িয়ে গেছে। যাহোক, তিনি বড় কথা নন।
আমার কথা হচ্ছে সমাজের সকল আলোচিত বিষয়ে তিনি নিরপেক্ষ আচরণ করবেন। সাধারণ মানুষেরা ,পাঠকরা সেটিই আশা করেন। আমাদের আশা তিনি, বয়স নিরপেক্ষ, সম্পদ নিরপেক্ষ ,জাতপাত নিরপেক্ষত হয়ে মানুষের জন্য কলম ধরবেন। লেখকদের , সৎ মানুষদের নিজস্ব লাভ ক্ষতি অনুযায়ী কথা বলতে নেই। নারীর বয়স পুরুষটির চেয়ে বেশী সেটি তার বলার কথা নয়। মোদ্দা কথা তিনি প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে এইজ শেমিং করবেন না।
লায়লা নামের টিটকার মহিলাটির উপর তিনি কেনো রেগে গিয়ে তার এইজ নিয়ে নেতিবাচক কথা বললেন তা বুঝলাম না। এখন পঞ্চাশ বছরের একজন নারী যদি ২৩ বছরের পুরুষের সাথে সহাবস্থান করে আনন্দে থাকেন তাহলে আমজনতার তাতে কি যায় আসে?
আমি অবশ্যই লায়লা নামের মহিলাটির বয়স নিয়ে কথা বল্বোনা। বল্বো তার আচরণ এবং বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। একজন ম্যাচিওরড নারী ,প্রফেশনাল নারী যা করছেন, তা অবশ্যই তার বেডরুমের মধ্যে রাখবেন। তা না করে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনাচরণ পাব্লিক্লি প্রচার করে অত্যন্ত খেলো আচরণ করেছেন। তার ব্যক্তিগত অনুভুতি মার্কেটিং করে তিনি নিজে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হতে চেয়েছেন। এবং সেই পরিচয়টি দিয়ে তিনি ইনকাম সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। সেটি তিনি হয়েছেনও। তাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু তিনি তার পার্টনারকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে আইনের হাতে ধরিয়ে দেবেন আবার সংসারও করতে চাইবেন এমন আচরণ সুস্থ্য নয়। এই ক্ষেত্রে আমি বল্বো নিজ গুণে তার প্রেমিককে তিনি শুধরে নেবেন। না পারলে অবশ্যই জেলে পাঠাবেন না। তারা উভয়ে উভয়ের কাছ থেকে সম্মানজনক বিচ্ছেদ নেবেন।
স্কারবোরো, কানাডা