
মাত্র আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ১৩ ও ১৫ বছর বয়সী দুই মেয়েকে তাদের দিগুণ বয়সী দুই পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন এক আফগান বাবা। ফজল নামের ওই বাবা একজন ইটভাটা-শ্রমিক। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ফজলের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে মোহরানার বিনিময়ে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া ছাড়া তার অন্য কোনো উপায় ছিল না। তার পরিবারের সদস্যদের অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। এই টাকা শেষ হয়ে গেলে তখন হয়তো সাত বয়সী তৃতীয় কন্যাকেও এভাবে বিয়ে দিতে হবে তাকে।
‘আমার অন্য কোনো উপায় ছিল না পরিবারকে খাওয়ানো এবং ঋণ পরিশোধ করার জন্য। আমি প্রচণ্ড আশাবাদী আমাকে তৃতীয় মেয়েকে এভাবে বিয়ে দিতে হবে না’, বলেন এই আফগান বাবা।
১০০ দিন আগে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সংস্থাগুলো দেশটিতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। এতে আফগানিস্তানের অর্থনীতির ভঙুর দশা।
দেশটির নারী অধিকার কর্মী ওয়াজমা ফ্রগ বলেন, এটা বিয়ে নয়, এটা শিশু ধর্ষণ। এই ধরনের ঘটনা তিনি প্রায় প্রতিদিন শুনছেন।
আফগানিস্তানের পরিবারগুলো মোহরানা পাওয়ার বিনিময়ে তাদের ২০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।