
জেন-জি অর্থাৎ ২৪ বছরের কম বয়সীদের দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৬ শতাংশ এবং মিলেনিয়ালদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের তিনজন মহামারি শুরুর আগের সময়ের চেয়েও এখন বেশি ব্যয় করছেন। অন্যদিকে ভালো অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ক্রয় থেরাপি অবলম্বন করছেন ৭৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের ২২ এবং বেবি বুমারদের ৩৫ শতাংশ। এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইন্টার্যাক।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ মাসের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের পর অর্থনীতির দন্ডটি দুলতে শুরু করেছে। রেস্তোরাঁ, দোকান, ফিটনেস সেন্টার ও সেলুনে খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন কানাডিয়ানরা। ‘হ্যাপি গো মানি’র লেখক মেলিসা লিয়ংয়ের মতে, এটা অনেকটা বাঁধ খুলে দেওয়ার মতো। এই অনুভূতিকে নতুন বাঁচতে পারার সঙ্গে তুলনা করা যায়।
গত ২৩ জুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইন্টার্যাক। তাতে কানাডাজুড়ে জনগণের মধ্যে অনাবশ্যক পণ্য ক্রয়ের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘ফিল-গুড স্পেন্ডিং’ অর্থাৎ যে ব্যয়ের মধ্য দিয়ে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। এ ধরনের ব্যয় বেশি করছে তরুণরা।
ইন্টার্যাকের অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিয়া ডানোভিচ বলেন, সাধারণ কিছু আনন্দের জন্য কানাডিয়ানরা তাদের অর্থ ব্যয় অব্যাহতভাবে বাড়াচ্ছেন। আমাদের ইচ্ছার সঙ্গে যায় এমন কম মূল্যের কেনাকাটাও আমাদের আবেগে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, জীবনের ক্ষুদ্রতম বিষয়টিও অনেক সময় বড় হয়ে ধরা দেয়।
তবে খরচের ব্যাপারে লিয়ং বলেন, বর্তমানে আপনি কি পরিমান আয় করছেন এবং কি পরিমাণ খরচ করছেন সে সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা জরুরি।