
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টানা তিনবারের মতো ক্ষমতায় থেকে দেশটা পরিচালনা করছেন। তবে প্রথমবার তিনি শুধুমাত্র সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। মানে এককভাবে সরকার গঠন করেছিলেন। পরের দুইবারই তিনি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেন নি। তাই এনডিপি নেতা জগমিত সিং ট্রুডোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনে সাহায্য করেছেন। এসব পুরোনো কথা।
কানাডার ৪৫তম ফেডারেল ইলেকশন হবে ২০২৫ সালে। ধরেন দেড় বছরের মতো সময় হাতে আছে।
এই সময়ের মধ্যে নানা রকম কাণ্ডকারখানা হতে পারে। ট্রুডো বতর্মানে প্রচণ্ডভাবে চাপের মুখে আছেন। হাউজিং কোস্ট, ফুড ও সবকিছুরই খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ জনগণ থেকে সব দলীয় নেতাদের মধ্যে প্রধান ক্ষোভের কারণ হয়েছে। তাছাড়া আছে ট্রুডোর সিদ্ধান্তে কার্বন ট্যাক্স পলিসির বাস্তবায়ন যা কোনো দলই মানতে চাচ্ছেন না। এক কথায় দেশের প্রায় ৯৯ মতামত বর্তমানে ট্রুডোর বিপক্ষে আছে এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
এদিকে দুইদিন আগে সেন্ট পলসএ বাই-ইলেকশন হয়েছে। ট্রুডোর দলের একজন ফেডারেল এমপি পদত্যাগ করলে এই বাই-ইলেকশন হয়েছে। এখানে একটা তাজ্জব ঘটনা ঘটেছে। এই আসনে টানা একত্রিশ বছর লিবারেল পার্ট মানে ট্রুডোর দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছে। কিন্তু গতকাল বাই-ইলেকশনে জয় লাভ করে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী। ফলে গতকাল ছিল টরন্টোয় একটা মোস্ট উত্তজিত দিন। সবাই এই রেজাল্টকে ট্রুডোর পতনের লক্ষণ হিসেবে দেখছে।
বিরোধী দলের দাবী ট্রুডো এখই ফেডারেল নির্বাচনের ডাক দিক। কারণ দেশের চলমান পরিস্থিতি মোটেও অনুকূলে নয়।
এদিকে স্বয়ং ট্রুডোর দলের চার-চারজন এমপি ট্রুডোর পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এসব নিয়ে ট্রুডো বর্তমানে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন। ট্রুডো যদি মধ্যবর্তী নির্বাচন না দিয়ে পদত্যাগ করেন ও দল থেকে আরেকজন এসে হাল ধরেন ভোট পর্যন্ত তাতেও কোনো লাভ হবে না বলে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকরা মতামত প্রকাশ করেছেন। আর ট্রুডো যদি আগামী ভোট পর্যন্ত থেকে নিজেই প্রার্থী হন তাহলে ট্রুডোর মোট কয়টা আসন পেতে পারেন তাতে মানুষ আগেই বুঝতে পারছেন।
মোট কথা ট্রুডো ক্ষমতায় না আসলে আসবে বিরোধী দল কনজারভেটিভের নেতা পিয়েরে ভলিভের।
এদিকে ট্রুডো না আসতে পারলে ইমিগ্রেশনে বা স্টুডেন্টদের পিআর পাওয়া সহজ হবে না অনেকেই মনে করছেন।
সবকিছু সময়ই বলে দেবে। দেখা যাক কী হয়।
টরন্টো, কানাডা।