
সদ্য মুনতাসীর মামুন স্বপরিবারে ঘুরে গেলেন টরন্টো-কানাডা। ছোট ছেলে নাবিল মুনতাসীর ও তার ছোট্ট দুই কন্যা নাতনীদের দেখতে এসে ছিলেন। সাথে ছিলেন ফাতিমা মামুন,শ্যালিকা ডাঃ নীহার তার স্বামী ডাঃ গোলাম নবী এবং মুনতাসীর মামুনের বড় পুত্র নাহীনের কিশোর ছেলে রায়েন।
নাবিলের স্ত্রী অগ্নিলার মা শাহানা ইকবাল তাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ করে ছিলেন টরন্টোর পাশে ঘন্টা খানেক ড্রাইভ দূরত্বে উত্তরের মার্খাম সিটির এন্টিক ভিলেজ ইউনিয়ানভিলের ইন্ডিয়ান ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট ‘আমবিয়ানে’। দেড়শত বছর পুরোনো ইউরোপীয় ধাঁচের বাড়িঘর ঠিক তেমনি ধরে রাখা হয়েছে ইউয়ানভিলে।
এই সব পুরোনো ডিজাইনের বাড়ি ফায়েয়ার স্টেশান গুলোতে পৃথিবীর যত বড় দেশের নানা ধরণের রেস্টুরেন্ট। অগ্নিলার পছন্দের আম্বিয়ান। ছোট্ট ইউনিয়ানভিল ঘুরে দেখে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে ঢোকার পরই শুরু হলো প্রচন্ড বাতাস আর ঝমঝমে বৃষ্টি। টেবিল ভর্তি মজার খাওয়া সবার ভালোই লাগছিলো।
ঢাকার গুলশান বনানীর এলিটদের পছন্দের ডেন্টিস ডাক্তার গোলাম নবী জানালেন তার ইউনিয়ান ভিলের ছিমছাম ওল্ড ইউরোপীয়ান ভাব ভালো লেগেছে।টুরিস্ট ক্রাউড ও বেশ মার্জিত।মামুন ভাইয়ের মুড ও নিজের পুত্র আর ছোট্ট দুই নাতনীকে পেয়ে খুব ভালো মুডে ছিলেন।সুযোগ পেয়ে তাই জিজ্ঞেস করলাম তার স্বপ্নপূরণ খুলনায় গড়ে তোলা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা মিউজিয়ামের কথা।
মাত্র ক’মাস হয় গণহত্যা জাদুঘরের নতুন তৈরী ছয়তল আধুনিক ডিজাইনের বিশাল ভবনে তারা দেশ বিদেশের অতিথি নিয়ে ১০ বছর পূর্তী অনুষ্ঠান করলেন। তখন আমিও দেশে ছিলাম মামুন ভাইয়ের আমন্ত্রণে ঢাকা থেকে খুলনায় গিয়ে বিশাল এবং আধুনিক এই গণহত্যা মিউজিয়াম দেখে অবাক!
অবাক লাগে মুনতাসীর মামুন যা স্বপ্ন দেখেন একান্ত নিজের ও তার দলগত অক্লান্ত পরিশ্রমে তা বাস্তবে রূপ দিয়েই ছাড়েন। শুরুর আদ্যোপান্ত তিনি আবলীলায় বলে গেলেন দেশ থেকে এত দূরে কানাডার ইউনিয়ানভিলের নামের ছোট্ট এন্টিক জায়গার আম্বিয়ান রেস্টুরেন্টে এক ঝমঝমে বৃষ্টি সন্ধ্যায়।
স্কারবোরো, কানাডা