
রিটায়ার্ড বয়োবৃদ্ধ হেড মাষ্টারের রাতে সহজে ঘুম আসে না। অনেক রাত পর্যন্ত এপাশ ওপাশ করে কাটাতে হয়। রাত ন টায় বিছানায় গড়াগড়ি করতে করতে রাত তিনটা চারটা বেজে যায় তবুও দু চোখের পাতা এক হয় না। টিনের ঘরের পাশ দিয়ে ঝিঁ ঝিঁ ডাকা শব্দে অন্ধকারে একটা বিড়াল গেলেও হেড মাষ্টার বিছানায় শুয়ে শুয়েই হাঁক দেন, কিডা যায় রে?
কাকা আমি গফুর! ঘরের পাশের মেঠো পথ দিয়ে দ্রুত হেঁটে চলে যান কেউ একজন!
রাত এগারটায় আবারও কার যেন পা’য়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। হেড মাষ্টার ককিঁয়ে উঠেন, কিডারে যায়!
আমি গফুর!
রাত প্রায় তিনটা। সবে দু চোখের পাতা এক হতে শুরু করেছে হেডমাষ্টারের! আবারও কার যেন দ্রুত হাঁটার শব্দ শোনা যায়!
যায় কিডা?
গফুর!
এবার হেডমাষ্টারের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়!
শালারা পাগল পাইছো আমারে? রাত ন টার সময় গফুর, রাত দশটায় গফুর, রাত তিনটায় গফুর! গফুরের গুষ্ঠি…..!
আসলে গফুর একজন গনি মিয়া! নিজের জমি নাই, বর্গা চাষি মাত্র!
মুলত আলোচনার ফোকাস হলো ড্রাইভার আবেদের মুখে দাঁড়ি, যেখানে সেখানে নামাজ পড়ার দৃশ্য এবং কথিত নুরানি চেহারা।
কোনভাবেই আলোচনার বিষয় না যে একজন ড্রাইভারের একার পক্ষে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস আদৌ সম্ভব কিনা!
কোনভাবেই আলোচনার ফোকাস এটা নয় যে বছরের পর বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁসের টাকা আর কোথায় কোথায় যায়? আর কে কে ভাগ পায়?
কোনভাবেই আলোচনার বিষয় নয় যে এইসব ড্রাইভার, পিওনদের এত ক্ষমতা কিভাবে এলো? কে দিল? কখনো পিএসসির ড্রাইভার, কখনো ডেসার ড্রাইভার, কখনো স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার, কখনো অমুক তমুক অফিসের পিওন!
কোনভাবেই আলোচনার বিষয় হবেই না যে দেশের প্রতিটি সরকারী পদের অধিকারী ব্যক্তিদেরই যে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হয়, সেই জবাবদিহিতা প্রয়োগে ব্যর্থতার দায় আসলে কার?
সব দোষ গফুরের!
স্কারবোরো, কানাডা