
শুরুতে কথা বলতেন, তারপর জড়াতেন প্রেম। এরপর বিয়ের কথা। সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পর যা ঘটত তা চমকে দেওয়ার মতো। কখনো বিয়ে ঠিক হওয়ার পর উধাও হয়ে যেতেন, কখনো বিয়ের পর। কৌশলটা সব ক্ষেত্রে একই রকম। অবশেষে হাতেনাতে তাকে ধরল পুলিশ।
ঘটনাটি ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুপুরের। ওই এলাকার তারাপুরমের বাসিন্দা মহেশ অরবিন্দ ওই নারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই শুরু হয় তদন্ত।
মহেশ অরবিন্দ জানিয়েছেন, তার পরিবার বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিল। সে সময় একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইরোদ জেলার কোদুমুডির বাসিন্দা সন্ধ্যার সঙ্গে আলাপ হয় তার। দুজনেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এরপর জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। পরে পালানির কাছে একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন।
সব ঠিকই ছিল। সন্ধ্যাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যান মহেশ। এরপর তার কাজ দেখে সন্দেহ হতে শুরু করে। দেখা যায়, আধার কার্ডে সন্ধ্যার নামের পরিবর্তে চেন্নাইয়ের অন্য কোনো নারীর নাম লেখা। বয়সও বেশি। প্রশ্ন করা হলে মহেশের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এরপর মহেশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যান সন্ধ্যা। তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত নারী সন্ধ্যার বিয়ে হয়েছিল চেন্নাইয়ে বসবাসকারী এক যুবকের সঙ্গে। তাও ১০ বছর আগে। তার এক সন্তানও রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সন্ধ্যা বয়স্ক অবিবাহিত পুরুষদের খোঁজ করতেন। তাদের আকৃষ্ট করে বিয়ে করতেন অথবা বিয়ের অজুহাতে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন। এভাবে ৫০ জনকে ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। অনেক চেষ্টার পর এই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।