9.6 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

পুলিশের এপিসিতে ‘উদ্দাম নৃত্য’, পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি

পুলিশের এপিসিতে ‘উদ্দাম নৃত্য’, পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা পুলিশের এপিসির সামনের দুটি এসএস স্ট্যান্ড, বনেটের ওপরে বাঁ পাশে রেডিও অ্যান্টেনা এবং ডান পাশের পেছনের চাকার মার্টগার্ড এবং ওয়াটার ক্যাননের বাঁ পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন।

- Advertisement -

তিনি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। এতে সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তারা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শিক্ষার্থীদের আগে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা ছিল।

সেই অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে অজ্ঞাত শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে আসেন। পরে তারা দলবদ্ধ হয়ে শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের মারধরও করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বিএসএমএমইউয়ের পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা পুলিশের এপিসি ও ওয়াটার ক্যানন ঘেরাও করেন।

আন্দোলনকারীরা এপিসির ওপরে উঠে উদ্দাম নৃত্য শুরু করেন এবং ওয়াটার ক্যাননের চালককে গাড়ি থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে করে যানবাহন দুটির পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, এরপর পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানবাহন দুটি থেকে নামালেও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপটেনিস বল ও ইটের টুকরা ছুড়ে মারেন। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হন।

মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের আহত করেন। তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন।

ছাত্ররা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পুলিশকে মারতে তেড়ে আসেন ও পুলিশকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।

আসামিরা বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি কাজে বাধা দেন। তারা স্বেচ্ছায় আঘাত করেন, গতিরোধ, দাঙ্গা দমনকারী কর্তব্যরতদের প্রতি আক্রমণ ও বাধা দিয়ে ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি দেখান বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles