
সপরিবারে আনহেল ডি মারিয়া পুরনো ছবি
কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন আর্জেন্টিনার তারকা উইঙ্গার আনহেল ডি মারিয়া। তার দুই মেয়ে মিয়া এবং পিয়া। দুবার কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে নিয়ে বড় মেয়ে মিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছে। বাবাকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই ১১ বছর বয়সী মিয়ার।
বাবার অবসর নিয়ে মিয়া লিখেছে, ‘প্রিয় বাবা, আমি জানি অনেকেই এই দিনটি দেখতে চায়নি। কিন্তু সেই দিনটা আজ (পরশু) এসে গেল। ১৬ বছর পেরিয়ে যাওয়া একটি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, তোমার সবচেয়ে বড় সমালোচকেরাও কখনো তোমার জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়া দেখতে চায়নি। অনেক সমালোচনা হয়েছে কিন্তু তুমি সব সময় স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই করেছ এবং অনেক চেষ্টার পর সফলও হয়েছ। ছয়টি ক্লাবে খেলেছ এবং বিভিন্ন কারণে ভুগেছ অনেক বছর। কিন্তু ফুটবল সব সময় তোমাকে পুরস্কৃত করেছে।’
‘নিজের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যটা তুমি অর্জন করতে পেরেছ। বিশ্বকাপ এবং আরও অনেক শিরোপা—৩৪টি! জাতীয় দলে এবং বিভিন্ন দেশের ক্লাবে তুমি অবশ্যই বড় ছাপ রেখেছ। ওয়েম্বলি, মারাকানা, কাতার—তিনটি জায়গা অবশ্যই তোমার জাদুর সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনের মধ্যে কষ্ট নিয়েও অনেক ভালোবাসার সঙ্গে আমরা তোমাকে বিদায় জানিয়েছি। জার্সির জন্য জীবন উৎসর্গকারী একজন মানুষকে নিয়ে আর কীইবা বলা যায়?’
‘আমি জানি অনেকের কাছেই তুমি নায়ক নও, এমনকি জাতীয় দলে ঈশ্বরও নও। কিন্তু আমার হৃদয়ে তুমিই বিশ্বের সেরা বাবা ও খেলোয়াড়। খুব খুশি হয়েছি, কারণ তুমি যেভাবে চেয়েছ এবং যেটা তোমার প্রাপ্য সেভাবেই ক্যারিয়ারটা উপভোগ করতে পেরেছ। সেই রাতগুলো মনে পড়ছে যখন তুমি অনুশীলন থেকে ফিরে তোমার সঙ্গে কী কী ঘটেছে সব বলতে।’
‘আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে তোমার ক্যারিয়ারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। অবদানের জন্য অনেকেই তোমাকে মনে রাখবে। কিন্তু আমি তোমাকে মনে রাখব এভাবে—সেই ছেলেটি যে রাস্তায় পাথর দিয়ে ফুটবল খেলার অনেক বছর পর সতীর্থদের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতেছে, আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হয়েছে। তোমার যেকোনো সিদ্ধান্তে সমর্থন থাকবে। এটা নিয়ে সংশয় কোরো না। সেরা বাবা ও সেরা সঙ্গী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সব সময় তোমার পাশেই থাকব। আরও অনেক কিছুই লিখতে পারতাম। কিন্তু কতটা গর্বিত সেটা বোঝানোর মতো শব্দভান্ডার আমার নেই। তোমাকে ভালোবাসি। মিয়া।’